Logo
শুক্রবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আঞ্চলিক খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  8. উন্নয়ণ
  9. করোনা
  10. কৃষিবার্তা
  11. ক্যাম্পাস বার্তা
  12. খেলাধুলা
  13. খোলা কলাম
  14. গণমাধ্যম
  15. গল্প ও কবিতা

অতিরিক্ত মজুদ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রতিবেদক
admin
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

বাজারে নিত্যপণ্যের দামে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজের দাম কিছুতেই নাগালের মধ্যে আসছে না। এক্ষেত্রে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা এতে তেমন কর্ণপাত করছে বলে মনে হয় না। পুরো বাজার ব্যবস্থা জিম্মি হয়ে আছে সিন্ডিকেটের কাছে। আর দামের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে খোঁজ মিলেছে নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলার হিমাগারে মজুদ হয়ে আছে আলু, পেঁয়াজের মতো পণ্য। সব মিলিয়ে বাজার ব্যবস্থায় যে অরাজকতা চলছে, তার অবসান কীভাবে হবে তা এক গোলকধাঁধা হিসেবে হাজির হয়েছে। 

বণিক বার্তায় প্রকাশ, দেশে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হলেও কয়েক মাস ধরে পণ্য দুটির বাজার অস্থিতিশীল রয়েছে। উৎপাদন মৌসুমে দাম কম থাকলেও এরপর দাম বেড়েছে দুই-তিন গুণ। বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সম্প্রতি পণ্য দুটির সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও নির্ধারিত দামে কোথাও বিক্রি হচ্ছে না। মূলত মজুদ পর্যায়ে আলু ও পেঁয়াজের কারসাজি হয় বলে বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দুটি পণ্যেরই মজুদ এখন হাতে গোনা কয়েক জেলায় কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়েছে। 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে মজুদকৃত আলুর মোট মজুদের প্রায় ৭৮ শতাংশই রংপুর, রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট ও ঠাকুরগাঁও—এ ছয় জেলায় রয়েছে। আর পেঁয়াজের মোট মজুদের প্রায় ৭৬ শতাংশ রয়েছে পাবনা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, রাজশাহী, ঝিনাইদহ ও নাটোরে।

এভাবে খাদ্যপণ্য মজুদ রেখে বাজার অস্থিতিশীল করা দণ্ডনীয় অপরাধ। খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুদ, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ) আইন, ২০২৩-এ বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি সরকার নির্ধারিত পরিমাণের বেশি খাদ্যদ্রব্য মজুদ করলে বা মজুদসংক্রান্ত সরকারের নির্দেশনা অমান্য করলে সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাবেন। অবশ্য শর্ত হিসেবে আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, এসব অপরাধে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে তিনি আর্থিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়ার জন্য মজুদ করেননি তাহলে তার অনধিক তিন মাস কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড হবে। 

অবশ্য আইন তো আগেও ছিল, তাহলে আইনের প্রয়োগ কি হতো না? এভাবেই কি এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীর হাতে দেশের খাদ্যপণ্যের বাজার জিম্মি হয়ে থাকত? এ প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই এসে যায়। এজন্য আইনকে শুধু আইনের জায়গায় না রেখে এর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সম্প্রতি আলু-পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে গত বৃহস্পতিবার খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর সর্বোচ্চ মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা এবং দেশী পেঁয়াজের মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে ব্যবসায়ীরা দেশের কোথাও এ দামে পণ্য দুটি বিক্রি করছেন না। বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৭৫-৯০ টাকা ও আলু ৪৮-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগার পয়েন্ট বা মজুদদারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হওয়ায় তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য দুটি বিক্রি করতে পারছেন না। 

কৃষি খাতসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, উৎপাদন মৌসুমে আলু ও পেঁয়াজের পর্যাপ্ত দাম পান না কৃষকরা। কিন্তু পরে কৃষকের হাতে যখন পণ্য দুটি থাকে না, তখন মজুদদাররা পণ্য দুটির বাজারকে অস্থিতিশীল করে দিচ্ছেন। সম্প্রতি সরকারি বিভিন্ন সংস্থা বাজারের খুচরা দোকানগুলোয় অভিযান শুরু করলেও এখন হিমাগার বা মজুদ পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণের প্রতি তারা মত দিচ্ছেন। অন্যথায় সরকারের মূল্য নির্ধারণের সিদ্ধান্ত অকার্যকরই রয়ে যাবে। 

সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েও সুফল মিলছে না। অথচ আলুর ক্ষেত্রে আমাদের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হয়। এখানে বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার মোটেও কোনো কারণ নেই। শুধু সিন্ডিকেশনের কারণে আলুর দাম বেড়েছে বলেই বিশেষজ্ঞরা মত দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে প্রকৃতপক্ষে কোনো লাভ নেই। কারণ হিমাগার পর্যায়ে সিন্ডিকেশন হচ্ছে। এজন্য মূল জায়গায় তদারকি বাড়াতে হবে। এটি না হলে কোনো সুফল আসবে না। আর পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও একটি পক্ষ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। হিমাগার মালিক, আড়তদার ও মজুদদারদের নিয়মিত তদারকি করতে হবে।

দেশে আলুর চাহিদা প্রায় ৭০-৭৫ লাখ টন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ১ কোটি ৪ লাখ ৩১ হাজার টন আলু উৎপাদন হয়। এর মধ্যে বীজ ও উৎপাদন-পরবর্তী অপচয় হয় প্রায় ২৫ শতাংশ। সে অনুযায়ী দেশে আলুর মজুদ উদ্বৃত্ত থাকার কথা। আবার হিমাগারগুলোয়ও মজুদ রয়েছে পর্যাপ্ত। কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার হিমাগারগুলোয় আলুদ মজুদ ছিল ১৫ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬ টন। 

এদিকে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ২৮ লাখ টন। যদিও গত অর্থবছরে দেশে কৃষিপণ্যটি উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৬ হাজার টন। টানা কয়েক মাসের অস্থিতিশীলতার পর জুনে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর দাম কিছুটা স্থির হলেও কমেনি। দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের মজুদ রয়েছে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৯ টন। আলু ও পেঁয়াজের মজুদও এখন কয়েকটি নির্দিষ্ট জেলাকেন্দ্রিক। 

যেসব জেলায় আলু-পেঁয়াজের ব্যাপক মজুদ রয়েছে, সে জেলাগুলোয়ও সরকার নির্ধারিত দামে এ পণ্য দুটো পাওয়া যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে কৃষকরা মধ্যস্বত্বভোগীদেরই দুষছেন। অর্থাৎ আলু ও পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা থাকলেও এর কোনো সুফলই কৃষক পান না। ফলে বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে কৃষক ও ভোক্তা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এজন্য প্রয়োজনীয় এ পণ্য দুটোর বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রশাসনের কঠোর তদারকি আবশ্যক। বিশেষ করে কেউ যেন প্রয়োজনের অতিরিক্ত মজুদ করতে না পারে, এজন্য অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। এর পরও অবৈধ মজুদকারীরা যদি সতর্ক না হয়, তাহলে আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হোক, এটিই আমাদের কাম্য। 

সর্বশেষ - অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

সাধারণ কিছু শারিরীক সমস্যাও হতে পারে ক্যান্সারের লক্ষণ !

নায়িকা থেকে লেখিকা, চমক নিয়ে আসছে রানী মুখার্জি

রাজবাড়ীর স্মৃতিকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অমানবিক: মির্জা ফখরুল

চুনারুঘাটে যানজট মুক্ত করতে ইউএনও কে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ 

আলোচনায় এগিয়ে হাবিব, জ্যেষ্ঠতায় মাহাবুবরকে হচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার?

সিংহজানী বহু মুখী উচ্চ ও কাচারীপাড়া মডেল সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

ভেষজ চা’-এ.রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চুমুক দিন

হাতেনাতে ধরেছিলেন ঋষিকে,স্বামীর অগুনতি পরকীয়ার কথা নিজেই বলেছিলেন নীতু

খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের চ্যাম্পিয়ন মারিশ্যা জোন

কোথায় আছেন বাহে, সবাই জেগে উঠুন: ফখরুল