এম.এস আরমান,নোয়াখালীর।
পরিবারের শাসন ও পড়ালেখায় অনিহা তৈরি হওয়ায় মাদ্রাসা ছাত্র পালিয়ে যাওয়ার পর অপহরণের শিকার হয়। থানায় সাধারণ ডায়েরির সপ্তম দিনে প্রযুক্তির মাধ্যমে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র শরিফুল ইসলাম (১৪) কে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০ টায় ফেনির রেলষ্টেশন থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল মোমেন ও সঙ্গীয় ফোর্সের অভিযানে উদ্ধার করা হয় মাদ্রাসা ছাত্র শরিফুল ইসলামকে।
অপহৃত শরিফুল ইসলাম নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার রামেশ্বপুর ৮ নং ওয়ার্ডের প্রবাসী মোঃ ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়,শরিফুল ইসলাম গত ১৭ই নভেম্বর বুধবার বসুরহাট পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডস্থ জামাইটেক সংলগ্নে অবস্থিত আল-কারীম মাদ্রাসা থেকে বাড়ীতে যাওয়ার কথা বলে বিকেল ৫ টায় বেরিয়ে যায়। ১৮ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ব্যবহৃত ০১৮৫৭৫৯২৭৬৯ এই নম্বর থেকে শরিফুল ইসলামের মায়ের ব্যক্তিগত নম্বারে ফোন করে তার ছেলে তাদের হেফাজতে আছে দাবী করে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়। শরিফুল ইসলামকে অনেক খোজাখোজির পর সন্ধান না পেয়ে চাচা তৈয়ব উল্যাহ বাদি হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। পরে উক্ত সাধারণ ডায়রির দায়ীত্বপ্রাপ্ত এস আই আবদুল মোমেনের নির্দেশে ঐ নম্বরের বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। বিকাশে টাকা পাঠানোর পর থেকে ঐ নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। দীর্ঘ ৭ দিন চেষ্টায় প্রযুক্তির মাধ্যমে ৪ জনকে গ্রেপ্তারের পর মূল অপহরণকারীদের কাচ থেকে ফেনির রেলষ্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয় শরিফুল ইসলামকে। গ্রেপ্তারকৃত ৪ জনের মধ্যে জিকু ও মোশারফ নামের দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারী ছিলো বাদী পক্ষ দাবি করলেও কোনো আসামী গ্রেপ্তার হয়নি দাবি করছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার এস আই আব্দুল মোমেন।
এবিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ রোমনের সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি উপজেলা প্রশাসনের একটি প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছেন এবং পরে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন।