আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তপশীল অনুযায়ী আগামী ১৫জুন অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ৯ নং পরৈকোড়া ইউনিয়নের উপ-নির্বাচন।
এ নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বত্রই চলছে নানা গুঞ্জন, কে হচ্ছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী? এ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণও।
এ ইউনিয়নের আসন্ন উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে অনেকের নাম শোনা গেলেও এ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন এম.এ.সালাম, আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল এবং এম.নুরুল হুদা চৌধুরী।
এর মধ্যে বিগত পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে এম.এ.সালাম ও নুরুল হুদা চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল সে বার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেননা।
যে তিনজন দলীয় মনোনয়ন চান রানৈতিক ক্যারিয়ার বিবেচনায় তিনজনেরই রয়েছে বার্নাঢ্য ইতিহাস।
এম.এ.সালাম- নব্বইয়ের দশকের রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ সুপরিচিত, পরবর্তি সময়ে তিনি দির্ঘদিন যাবৎ সৌদি আরবে অবস্হান করলেও দলের প্রবাসী সংগঠনের সাথে সক্রিয় ভাবে সংযুক্ত থাকার সুবাদে দলের স্থানীয় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছেও বেশ পরিচিতজন তিনি।
স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ’র আস্থাভাজন হিসেবেও বেশ পরিচিত।
তা ছাড়া তিনি ২০১০ সালের ইউপি নির্বাচনে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে পরাজিত হন।
পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েও ব্যর্থ হন, তবে স্বতন্ত্র(বিদ্রোহি) প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেননি।
আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল- বর্তমান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে তিনিও স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি মন্ত্রীর একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে বেশ সুপরিচিত। তা ছাড়া অত্র ইউনিয়নের সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ চৌধুরী আশরাফ এর পরিবারের ঘনিষ্টজন হিসেবেও তিন বেশ পরিচিত।
তিনি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেননা।
এম. নুরুল হুদা চৌধুরী- সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে তাঁর রয়েছে বেশ সুখ্যাতি, তিনি কন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য এবং অত্র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুবাদে স্থানীয় ও জেলা পর্য্যায়ে বেশ সুপরিচিত।
তা ছাড়া পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েও ব্যর্থ হন তিনি, তবে স্বতন্ত্র(বিদ্রোহি) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেননি।
যোগ্যতার বিবেচনায় তিনজনকেই যোগ্য মনে করেন অত্র ইউনিয়নের দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণ।
এ বিষয়ে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বললে তাঁরা বলেন তিনজনই যোগ্য, দল যাকে মনোনয়ন দিবে তাঁকে নির্বাচিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
দলীয় মনোনয়ন পেতে নিজেদের মধ্যে কে বেশী আশাবাদী, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনজনই অভিন্ন সুরে কথা বলেন। তাঁরা বলেন দলের জন্য ত্যাগ ও অনুগত্যতা বিবেচনায় আমরা দলের মার্কা নৌকা প্রত্যাশী।
আশা করি দলীয় হাইকমান্ড সবকিছু বিবেচনা করে যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনীত করবেন।
দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যার্থ হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনজনই কৌশলী উত্তর দেন।
প্রসঙ্গত: এ ইউনিয়ন থেকে পরপর দু’বার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও ভূমি মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় মরহুম মামুনুর রশীদ চৌধুরী আশরাফ।
বিগত ৫জানুয়ারি অনুষ্টিত ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করার পরপরই তিনি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৬মার্চ মারা গেলে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষনা করে নির্বাচন কিমশন।
আগামী ১৫জুন অনুষ্টিত হবে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন।