রফিক তালুকদার, আনোয়ারা
আজ ৭জিলজ্ব, কোরবানী বা ঈদ-উল- আযহার মাত্র তিনদিন বাকি, চাঁদ দেখার পর থেকে গতকাল(বুধবার) পর্যন্ত মুসলমানদের পশু কোরবানীর পবিত্র এ উৎসবকে ঘিরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পশুর হাট গুলো পশুতে ভরপুর থাকতে দেখা গেলেও ক্রেতার উপস্থিততি ছিল গৌন। ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় ছিল খামারি ও পশু ব্যবসায়ীরা।
আজ থেকে পাল্টে যায় এ চিত্র, শুরু হয়েছে ধুম বেচাকেনা, তাই উদ্বেগ কাটিয়ে বিক্রেতাদের মুখে শোভা পাচ্ছে আনন্দের হাসি।
বৃহস্পতিবার(৭জুলাই) উপজেলায় পবিত্র কোরবানী উপলক্ষে স্থাপিত মিন্নত আলী দোভাষীর হাট এবং ওয়াহেদ আলী চৌধুরী হাট ঘুরে দেখা যায়, শত শত গরু,মহিষ ও ছাগলের সমাহার। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খামারি ও পশু ব্যবসায়িরা এসব পশু নিয়ে আসে হাট দু’টিতে।
পক্ষান্তরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতা সাধারণের ভিড়ও বাড়তে থাকে। দুপুর পর্যন্ত বেচাকেনার গতি কিছুটা মন্থর থাকলেও বেলা গড়িয়ে বিকেল হতেই শুরু হয় বেচাকেনার ধুম। রাত ৯টা পর্যন্ত দেখা যায় কেউ গরু কিনে আর কেউ গরু বেচে খুশি হতে।
তবে গরুর দাম একটু বেশী, এমনটাই মনে করছেন ক্রেতারা। একাধিক ক্রেতার সাথে আলাপকালে তাঁরা জানান, গরুর,ছাগলের সাইজ ও আনুমানিক ওজনের তুলনায় দাম একটু বেশী দিয়েই কিনতে হচ্ছে। তার পরেও বাজারে ব্যাপক গরু ছাগলের সমাগম থাকায় নিজেদের পছন্দের পশু নির্বাচনে তেমন বেগ পেতে হচ্ছেনা, এতেই তাঁরা খুশি।
অন্যদিকে খামারী ও বিক্রেতাদের দবী বর্তমান গো খাদ্যের উচ্চমূল্য আর পরিচর্যা খরচের তুলনায় পশুর দাম বেশী নয়। দাম নিয়ে অসন্তুষ্টিও লক্ষ্য করা যায় অনেক বিক্রেতার মাঝে।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্য মতে এ বারের কোরবানী উপলক্ষে আনোয়ারা উপজেলায় ৬০ হাজারেরও বেশী গবাদিপশুর মজুত রয়েছে। ছোট বড় প্রায় ৯শত খামারে পালিত হওয়া এসব গবাদি পশু নিরাপদে মোটাতাজা করন কাজের তদারকি করেছে প্রাণিসম্পদ অফিস।
আনোয়ারা উপজেলা উপ সহকারী প্রাণী সম্পদ অফিসার দোলন কান্তি দাস জানান, প্রতি বৎসরের ন্যায় এবারও আসন্ন কোরবানীকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন খামারে পালিত হওয়া এসব পশু স্থানীয় বাজার ছাড়াও শহরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রিত হচ্ছে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জুবায়ের আহমেদ বলেন, উপজেলায় সরকারি ভাবে ৩টি পশুর বাজার থাকলেও কোরবানী উপলক্ষে বিভিন্ন ইউনিয়নে অস্থায়ী ভাবে স্থাপিত কয়েকটি হাটেও চলবে কোরবানীর পশু ক্রয় বিক্রয়।
করোনা পরিস্থিতি যেহেতু আবারও অবনতির দিকে যাচ্ছে সেহুতু জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার বিষয়ে সার্বক্ষণিক প্রচারনা চালানো হচ্ছে।