
স্বাধীন নিউজ ডেস্ক!
বর্ষবরণ মানেই উদযাপনের মরসুম।
ঝড় উঠবে উল্লাসের চুমুকে। যতই ডাক্তারি বিধিনিষেধ থাকুক না কেন চলবে হই-হুল্লোড় রাতভর।
কিন্তু যাঁরা ইতিমধ্যেই ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা কী সামিল হবেন না উদযাপনে! উপায় আছে, বলছে গবেষণা।
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, শুধুমাত্র অ্যালোকোহলই দায়ী নয় রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে।
বরং অনেকাংশেই দায়ী অনুসঙ্গের নানা রকম খাবার। ফিশ ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, তন্দুরি, চাইনিজ, কত কী! গবেষণা বলছে, খালি পেটে মদ্যপানের ফল মারাত্মক। এতে মেটাবলিজম বাড়ে অস্বাভাবিক হারে।
শরীরে তখন গ্লুকোজের মাত্রা প্রভাবিত হয় ভীষণরকম। সেক্ষেত্রে গ্লুকোজের মাত্রা কমে গিয়েও বাড়তে পারে সমস্যা। যদি রাতের খাবারের সঙ্গেই অল্প বিস্তর মদ্যপানের ইচ্ছে থাকে বর্ষবরণের রাতে তবে আগেবাগেই মেপে নিন ঠিক কত আছে সুগার।
ডায়াবেটিস থাকলে মদ্যপান না করাই শ্রেয়। একান্তই যদি মেতে উঠতে ইচ্ছে করে গ্লাস হাতে নিয়ে তবে নজরে রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়। প্রথমেই রাশ টানতে হবে সারাদিনের ডায়েটে। যদি মনে করেন রাতে পার্টি করবেন তবে প্রাতঃরাশ থেকে দুপুরের খাবার খেতে হবে একটু মেপে। ক্যালরি বুঝে।
এর পর ভাবতে হবে কী ধরনের মদ আপনি খাবেন উত্সবের আমেজ ধরে রাখতে। এক পেগ হুইস্কি প্রায় পাঁচ চা-চামচ চিনির সমান। তাহলে বুঝতেই পারছেন এহেন বর্ষবরণে কী সমস্যা হতে পারে।
তাই রাশ টানতে হবে ইচ্ছেয়। উদযাপনের অনেক উপকরণ মজুত আছে জগত্ সংসারে। মদ্যপান থেকে ডায়াবেটিস আক্রান্তরা না হয় দূরেই থাকলেন।