Aayan Sikdar
বর্তমান দুনিয়ায় বেশিরভাগই নিউক্লিয়ার পরিবার (family) দেখা যায়। আতসকাচ দিয়ে খুঁজলে হয়ত দু-একটা যৌথ পরিবার (joint family) দেখা যায়। কাজের চাপে বেশিরভাগ মানুষই নিজের সুবিধা মতন জায়গায় থাকতে পছন্দ করেন। যার ফলে পরিবার পরিজন ছেড়ে তাঁদের পৃথক পৃথক স্থানে থাকতে হয়।
কর্মজীবনের চাপে পড়ে অনেকেই এখন সুবিধা মতন জায়গায় থাকতে পছন্দ করেন। একটি বা দুটি সন্তান নিয়ে তাঁদের সুবিধা মতন পরিবেশে অনেকেই থাকতে পছন্দ করেন। যোউথ পরিবার আর সেভাবে দেখাই যায় না এখন। কিন্তু আজকের যুগে দাঁড়িয়েও এমন একটি পরিবার (family) রয়েছে, যেখানে একসঙ্গে থাকেন ৩৯ জন।
শুনে অবাক হচ্ছেন, বাস্তবে ঠিক এমনই একটি পরিবার রয়েছে চিতোরে। যেখানে এক পরিবারে ৪ ভাইয়ের সুখী পরিবার রয়েছেন, যারা একসঙ্গে থাকেন ৩৯ জন। হাসি, খুশি, আনন্দে, মজায় রয়েছে এই পরিবার। বর্তমান দিনে যা যৌথ পরিবারের (joint family) প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ হয়ে রয়েছে।
চিতোরের সিকলিগার এই পরিবারে বাবা-মায়ের পর চার ভাইয়ের মধ্যে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর পর, অন্য দুই ভাই এক করে রেখেছে। তাঁদের স্ত্রী সন্তানদের পাশাপাশি ১৫ জন বিবাহিত বোনের পরিবারও রয়েছেন একই বাড়িতে।
আচার-অনুষ্ঠানকে টিকিয়ে রেখে ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া ভাইদের বক্তব্য বাবা দেবী লাল, মা যাদব বাই ও বড় ভাই ভগবান লাল, গোপাল লালের আশীর্বাদের জেরেই আজ এমনটা সম্ভব হয়েছে। এখানে দেবেন্দ্র কুমার, দিলীপ কুমার, গজেন্দ্র সিং পরিহার, পুরুষোত্তম কুমার, কৈলাশ চাঁদ, গিরিরাজ, কমলরাজ, বিক্রম, আশীষ অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রজন্মের আট ভাইও রয়েছে।
এই যোউথ পরিবারের (joint family) ভাইয়েরা আরও বলেন, তাঁদের মা বলতেন, পরিবারের (family) সকলে একসঙ্গে থাকলে কখন কার ভাগ্য খুলে যায়, যার ফলে পরিবারের সকলের উন্নতি হয়। এবিষয়ে ছোট ভাই সত্যনারায়ণ জানান, ‘যদি কোন ভাই তাঁর ছেলে মেয়ে এবং এখন নাতি-নাতনিদের পড়াতে চায়, তাহলে তাঁদের সকলকে আমরা একই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিই। সবাই একসঙ্গে থাকি’। বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাওয়া মূল্যবোধের কারণেই তারা সকলে একসঙ্গে থাকেন বলে জানান তারা।