
নামজুল হুদা স্বাধীন নিউজ
কাগজ, পলিথিন, সিমেন্টের বস্তা আর ত্রিপলে মোড়ানো ছোট ঘর। ঠেকনা দেয়া হয়েছে ঘুণে খাওয়া নড়বড়ে চারটি বাঁশের খুঁটি দিয়ে। ঘরের অবস্থা জরাজীর্ণ। বৃষ্টি আসলেই ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ে। ঘরের ভেতর ছোট একটা চৌকি পাতা। দু’জন ঘুমানোর চৌকিতে ঘুমান চারজন। ঘরের দুয়ারের সঙ্গেই খোলা আকাশের নিচে মাটির চুলা। রোদের মধ্যে রান্না করতে হয়। বৃষ্টি হলে অবশ্য রান্নাই করতে পারেন না। জীর্ণদশা এই ঘরে থাকেন কল্পনা বেগমসহ আরও তিনজন।
বিজ্ঞাপন
একজন তার ছেলে, ছেলের বউ আর নাতি। কল্পনা আগে ছাই বিক্রি করে যা আয় হতো তা দিয়েই সংসার চালাতেন। কিন্তু এখন তা করতে পারছেন না। ছেলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সামান্য আয় করেন তিনি। এতে চারজনের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
কল্পনা বেগমের পরিবারের আয় কমেছে অন্যদিকে দিনকে দিন বাড়ছে খরচ। তাই এখন দু’বেলা মোটা চালের ভাত আর সামান্য তরকারি দিয়ে খেয়েই জীবন চলে তাদের। জীবনের এই করুণ বাস্তবতার চিত্র শুধু কল্পনার পরিবারের নয়, খিলগাঁও রেললাইন আর মালিবাগ ফুটপাথের পাশে গড়ে ওঠা অসংখ্য ভাসমান পরিবাবের অবস্থা একই রকম।
তিনি বলেন, ‘আলু সেদ্ধ, পাতলা ডাইল দিয়্যা ভাত খাইতে খাইতে মুখের স্বাদ নষ্ট হইয়া গেছে। আগে তাও মাঝে মধ্যে ব্রয়লার মুরগি কিনতাম। এখন সেটাও মাসে একদিন কেনা হয় না। ঈদের দিন ব্যাগ লইয়া বের হমু। আল্লাহ্ যদি রিজিকে রাখে এবার ঈদে একটু গোশ্ত খামু।’