
একজন মুমিন মুসলিম বান্দার জীবনে পবিত্র ঈদুল আজহা এবং কোরবানির গুরুত্ব সীমাহীন ।
তার কারণ মুমিনের জীবনের একমাত্র আরাধনা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। আর প্রকৃত কোরবানি তাকে অত্যন্ত দ্রুত আল্লাহর নৈকট্যে ভূষিত করে। আমরা বাঙ্গালী কোরবানির ঈদ বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে থাকি । কোরবানি শব্দের অর্থ হচ্ছে ত্যাগ, উৎসর্গ ইত্যাদি। অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যেই এ কোরবানি।
কোরবানির ঈদ-পালনের মাধ্যমে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবী হজরত ইব্রাহিম (আ.) এবং হজরত ইসমাইল (আ.)এর অতুলনীয় আনুগত্য এবং মহান ত্যাগের পুণ্যময় স্মৃতি বহন করে। আল্লাহপাকের সন্তুষ্টির জন্য মুসলিম উম্মাহ প্রতি বছর পশু কোরবানি করে থাকেন ।
মনে আছে আপনাদের ? বাংলা ক্লাসে আমরা ‘ত্যাগের মহিমা’ নিয়ে রচনা লিখতাম। ত্যাগ যে শুধু ব্যক্তির নয়, সমাজের, এবং সমাজ থেকেও বড় যে কাঠামো অর্থাৎ আমাদের রাষ্ট্রের, তারও, সে কথাটাও আমরা ব্যাখ্যা করতাম ।
‘ত্যাগের মহিমা’ রচনাটি এবারও ছেলেবেলার সরল পাঠের একটা মর্মার্থ উপহার দিল। ত্যাগ তো শুধু ব্যক্তি করবে না, সমাজ এবং রাষ্ট্রকেও তা করতে হবে।
কিছুদিন আগে সিলেট সুনামগঞ্জসহ হাওড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। মানুষের সীমাহীন দুঃখ দুর্দশায় সরকার ও মানুষ এগিয়ে এসেছে। কিন্তু সব হারানো মানুষ এখনও স্বাভবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেনি। সুনামগঞ্জের পানি কিন্তু এখনও নামেনি। এ ঈদে তাদের কথাও মনে রাখতে হবে। কোরবানি ঈদের মূল তাৎপর্য যেন হয় মনের পশুকে কোরবানি দিয়ে মানবতা, সহমর্মিতা আর কল্যাণের উদ্ভাসন। এই উৎসব আনন্দে আমরা যেন ভুলে না যাই দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষের কথাও। তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে আমরা যেন তাদের পাশে দাঁড়াই। আমরা যেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুর্ণবাসনে কাজ করতে পারি-সেটা হোক এ ঈদের চাওয়া।
ঈদে মানুষ বাড়ি যায়। যেভাবে পারে, যায়, এবারও যাচ্ছে। পরিবারের সঙ্গে সংযুক্তিটা বড় আনন্দের। সবার বাড়ি যাওয়া নির্বিঘ্ন হোক। পাশাপাশি, এই কঠিন সময়ে মহামারির বিষটা যেন আর না ছড়ায়, সেই চেষ্টাটা আমরা যেন নিরন্তর করে যাই
।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা
-تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَ مِنْكُمْ
আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার নেক আমল তথা ভাল কাজগুলো কবুল করুন।
মোঃ তারেক রহমান
বিশেষ সংবাদদাতা : স্বাধীন নিউজ