
মোঃ আলম, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা কে মাদক মুক্ত করতে নিরলস ভাবে কাজ করছেন ওসি এটি এম গোলাম রসুল।ইতিমধ্যে মাদক উদ্ধার,ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার,পলাতক আসামী গ্রেফতার ও সার্বিক আইন শৃঙ্খলা উন্নতি ক্যাটাগরিতে জেলায় একাধিকবার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হয়েছেন এটি এম গোলাম রসুল।
উত্তরের সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলা একপাশে তিস্তা নদী অপর পাশে ভারত সীমান্ত দিয়ে বেষ্টিত,ফলে কালিগঞ্জ থানার সীমান্ত সংলগ্ন ইউনিয়নগুলো রীতিমত মাদক বিক্রির হাট বাজারে পরিনিত হয়েছে।মাদক চোরাচালান এখানকার প্রধান সমস্যা,সেই সাথে জেলার পাঁচটি থানার মধ্যে সর্বাধিক নারী নির্যাতন,যৌতুক,বাল্য বিবাহ সংক্রান্ত অপরাধ এবং ফৌজদারি মামলা কালিগঞ্জ থানায় সংঘটিত হয়ে থাকে।
এটি এম গোলাম রসুল ২০২১সালের নভেম্বর মাসে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহন করার পর দক্ষতা,যোগ্যতা,আর পেশাদারিত্ব মনোভাব নিয়ে বদলাতে থাকেন কালিগঞ্জ থানার চিত্র।মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্লারেন্স ঘোষনা করে মাদকের ঝুঁকি প্রবন এলাকায় সুধী সমাবেশ করেন, মাদকের সাথে সম্পৃক্ত সেবনকারী,ছোট ,বড় ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষক দের সাধারন ক্ষমার সুযোগ গ্রহনের ঘোষনা দিয়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসার সময় বেঁধে দেন।এতে করে মাদক ঝুঁকি প্রবন সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক নাড়া পড়ে এবং সামাজিক আন্দোলনের রূপ ধারন করে এটি।সময় সীমা শেষে ঘোষণা অনুযায়ী একাধিক টিম গঠন করে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেন, যার নেতৃত্ব দেন কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটি,এম,গোলাম রসুল।
ওসি এটি,এম গোলাম রসুল ২১নভেম্বর ২০২১সালে কালিগঞ্জ থানার দ্বায়িত্ব ভার গ্রহন করার পর ২২জুলাই ২০২২ প্রযন্ত নয় মাস সময় কালে,৮৪টি মাদক মামলায় ৯৮ জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার,৬১১২বোতল ফেন্সিডিল,১৪৩কেজি গাঁজা,২৪৮৪পিছ ইয়াবা,ভারতীয় মদ ২৩বোতল উদ্ধার করেন, এত অল্প সময়ে কালিগঞ্জ থানায় এটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
এর বাইরে সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী ৫৪জন এবং গ্রেফতার পরোয়ানা ভুক্ত ১১২জন আসামী গ্রেফতার সহ ৫৬৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা নিষ্পত্তি করেন।জিডি মুলে ১৭টি ভারতীয় গরু,২৩টি মটর সাইকেল,০৩টি ট্রাক ,০১টি ট্রাক্টর,০৪টি ইজিবাইক,ও ০১টি মাইক্রো বাস মালিকবিহীন উদ্ধার করেন।থানা এলাকার তালিকা ভুক্ত ২৫জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে দ্রুত তম সময়ে গ্রেফতার করেন।
স্বল্পকালীন সময়ে সামাজিক ও ফৌজদারি অপরাধ দমনে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেন, একটি ধর্ষন মামলার ০২জন আসামী গ্রেফতার,০৩টি হত্যা মামলার ০৯জন আসামী গ্রেফতার করে, ০৩ জনের ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়।এছাড়া কালিগঞ্জ থানার আলোচিত ক্লূ লেস বিকাশ ব্যবসায়ী আইয়ুব হত্যার রহস্য জট স্বল্প সময়ের মধ্যে উদঘাটন করেন ওসি এ,টি,এম গোলাম রসুল।এতে অল্প সময়ে সীমান্তঘেঁষা কালিগঞ্জ থানায় মাদক নির্মূলে গৃহীত পদক্ষেপ মাদক ব্যবসায়ীদের ঘুম হারাম করে দেয় যা সাধারন মানুষের কাছে প্রশংসা কুড়ায়।
চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা এ,টি,এম গোলাম রসুল চাকুরী জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন,ইতিপূর্বে সৈয়দপুর রেল ওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,র্র্যাপিড একশ্যান ব্যাটালিয়ন,পিবিআই তে সুনামের সহিত তার দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।চাকুরী জীবনে কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষনের মুখোমুখি হন। তথাপি কর্তব্য পালনে এক চুল পিছপা করতে পারেনি এ,টি,এম,গোলাম রসুল কে। RAB থাকা কালীন শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান,কালা জাহাঙ্গীর,প্রকাশ,বিকাশ কে গ্রেফতার অভিযানে এ,টিএম গোলাম রসুল সরাসরি অংশগ্রহন করেন।চাকুরী জীবনে সাহসী ভূমিকার জন্য পুলিশ বিভাগের সর্বোচ্চ পুরস্কার আই,জি,পি ব্যাজ প্রাপ্ত হন।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ,টিএম,গোলাম রসুলের মুখোমুখি হলে তিনি জানান,চাকুরী জীবনে কখনো দ্বায়িত্ব থেকে চুল পরিমান পিছপা হয়নি,সব সময় চেষ্টা করেছি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে সততার সহিত দ্বায়িত্ব পালনে।আমি দ্বায়িত্ব নেবার পর থেকে কালিগঞ্জ থানাকে মাদক মুক্ত করতে জিহাদ ঘোষনা করি।প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করে মাদক উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে সচেষ্ট রয়েছি।সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত মাদক ঢুকছে এটা পুলিশের পক্ষে একা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়,পুলিশ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে জেলে পুড়ছে, আইনের ফাঁক গলিয়ে কিছু দিন পরে তারা জামিনে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে।এজন্য সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ দরকার।মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীরা নানা অপপ্রচার চালিয়ে পুলিশকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, পুলিশের পেশাগত মনোবল দৃঢ় রয়েছে এসব অপপ্রচার পুলিশ তার দ্বায়িত্ব পালনে কখনো পিছপা হবে না বলে যানান ওসি এটিএম গোলাম রসুল।