কুমিল্লায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন, দামে খুশি ব্যবসায়ীরা!

কৃষি বার্তা ডেস্ক

কাঁঠাল একটি সুমিষ্ট ফল। কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত কাঁচা কাঁঠাল কান্দা বা ইচোড়’ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। পাকা ফল বেশ পুষ্টিকর, সুমিষ্ট স্বাদ ও স্বল্পমূল্যের জন্য অনেকে পছন্দ করেন। তাই এটি বাংলাদেশের জাতীয় ফল। কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে প্রবেশ করলেই পাওয়া যাচ্ছে কাঁঠালের মিষ্টি ঘ্রাণ। সেখানে এখন পাকা কাঁঠালের গন্ধে চারিদিক ম-ম করছে।

গাছ থেকে কাঁঠাল কেটে মহাসড়কের পাশে এনে জড়ো করা হচ্ছে। সেখান থেকে গাড়ি যোগে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন বাজারে। এছাড়াও চন্ডীমুড়া, লালমাই, রতনপুর ও বিজয়পুর বাজারে বসেছে কাঁঠালের হাট। ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতিতে বাজার সরগরম হয়ে উঠেছে।

জানা যায়, লালামাই পাহাড়ের বেশির ভাগ অংশ কুমিল্লা সদরের দক্ষিনে পড়েছে। সেই পাহাড়ের বিজয়পুর, রতনপুর, রাজার বাজার, চৌধুরী খোলা, হাতিগাড়া, সামলমানপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁঠাল বেশি উৎপন্ন হয়।

লালমাই পাহাড়ের সড়কের মোড়ে মোড়ে কাঁঠালের উৎসব বসেছে। বাগান মালিকরা বসে আছেন পাইকারের অপেক্ষায়। পাইকার আসছেন, নগদ টাকা দিয়ে কাঁঠাল গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পাচ্ছেন ভালো দাম। এতে খুশি বাগান মালিকরা। ব্যাক্তি উদ্যোগে করা বাগানগুলো প্রথমে পাইকাররা ক্রয় করেন। ফল পাকার পর সেই পাইকাররা আরেক পাইকারের কাছে বিক্রি করেন। কয়েক হাত হয়ে বাজারে কাঁঠাল আসে। বড় জাতের কাঁঠাল গুলো ১০০-১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাগান ক্রয় করা পাইকার ছায়েদ আলী বলেন, তিনি প্রায় ১০ বছর যাবত কাঁঠাল বাগান ক্রয় করে আসছেন। এবছর ২৫০ টি গাছের বাগান কিনেছেন। মাঝারি কাঁঠাল ৬৫ টাকা আর ছোট কাঁঠাল ২৫ টাকা করে বিক্রি করেছেন। ৭৫ হাজার টাকায় বাগান কিনে প্রায় ৬০ হাজার টাকার কাঁঠাল বিক্রি করেছেন। মোট দেড় লাখ টাকার কাঁঠাল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি মনে করেন।

খুচরা বিক্রেতা সাইফুল বলেন, ৯ হাজার টাকা দিয়ে ১০০ কাঁঠাল কিনেছেন। আশা করছেন সকল খরচ বাদ দিয়ে ২ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুহউদ্দিন মজুমদার বলেন, লালমাই পাহাড়ের অধিকাংশ এলাকা সদর দক্ষিণে। এদিকেই কাঁঠাল উৎপাদন হয় বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, জেলায় ৩৩৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল চাষ হয়েছে। লালমাই পাহাড়ে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন কাঁঠাল উৎপন্ন হয়। এ পাহাড়ের কাঁঠালে স্বাদ খুব মিষ্টি। তাই এই পাহাড়ের কাঁঠালের চাহিদা বেশি।

এই ওয়েবসাইটের সকল লেখার দায়ভার লেখকের নিজের, স্বাধীন নিউজ কতৃপক্ষ প্রকাশিত লেখার দায়ভার বহন করে না।
এই বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -

সর্বাধিক পঠিত

- Advertisment -