
মোঃ আলফাত হোসেন সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
অবৈধ পথে ভারতে কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সাতক্ষীরার পুরো সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও জেলা পুলিশ। সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে টহলও। সীমান্তের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সাতক্ষীরায় বিজিবির তিনটি ব্যাটালিয়নের অধীনে সীমান্ত এলাকা রয়েছে ২৭৮ কিলোমিটার। এ দীর্ঘ সীমান্তের প্রায় ৩০টি চোরা ঘাট দিয়ে মানবপাচার ও চামড়াসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত রয়েছে একাধিক সিন্ডিকেট। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হলে এসব সিন্ডিকেটের হোতারা গা-ঢাকা দেয়। তবে ঈদুল আজহার সময় এসব সিন্ডিকেটের সদস্যরা আবারও তৎপর হয়েছে বলে জানিয়েছে সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল-মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে এরই মধ্যে সব সীমান্তে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন ৩৩ বিজিবি সদস্যরা। টহল জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।
কোরবানি চামড়া পাচার রোধে সাতক্ষীরা সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি আরও বলেন, সীমান্তের বিজিবির তালিকাভুক্ত চোরাকারবারিদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া বাকি দুই ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকেও টহল বাড়ানো হয়েছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, চামড়া পাচার রোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তের কোনো সড়কে চামড়াবাহী কোনো যানবাহন ঢুকতে পারবে না। অন্য জেলা থেকেও চামড়াবাহী কোনো যানবাহন সাতক্ষীরা জেলায় প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ব্যবসায়ীরা তাদের সংগৃহীত চামড়া যশোরে আড়ত ও ঢাকার ট্যানারিতে নিয়ে যেতে পারবেন।
সম্ভাব্য পাচারকারীরা পুলিশের নজরদারিতে আছে বলেও জানান তিনি।