ক্রীড়ামন্ত্রী কক্সবাজারের ফুটবল সেন্টার নিয়ে যা বললেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

হঠাৎ আলোচনায় কক্সবাজারের বাফুফের ফিফার অর্থায়নে ট্রেনিং সেন্টার। গতকাল পরিবেশবাদী ও আরো কয়েকটি সংগঠন একসঙ্গে কক্সবাজারে বাফুফের এই ট্রেনিং সেন্টার পরিবেশের জন্য হুমকি মনে করে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠান শেষে বাফুফের ট্রেনিং সেন্টার নিয়ে কথা বলেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

তিনি পরিবেশ ও ফুটবল উন্নয়ন দু’টিকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই পরিবেশ রক্ষার পক্ষে। পরিবেশ বিনষ্ট করে কিছু হোক সেটা আমরা কখনোই চাই না। পাশাপাশি ফুটবল অন্য খেলার চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে। ফুটবলের উন্নয়নের জন্যও সেন্টার প্রয়োজন। আমরা চাই ফুটবলের উন্নয়নও হোক এবং পরিবেশও সঠিক থাকুক।’ কক্সবাজারের রামু উপজেলায় খুনিয়াপালংয়ে ২০ একর জমিতে বাফুফে সেন্টার নির্মাণের বিপক্ষে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। সামাজিক মাধ্যমেও চলছে সমালোচনা। এই পরিস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনে করেন, ‘এখনো আমাদের সময় রয়েছে। জেলা প্রশাসন যদি এই জায়গার পরিবর্তে অন্য জায়গা খুজে পায় সেখানেও ফুটবল সেন্টার হতে পারে।’
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় খুনিয়াপালং অরণ্য ছিল বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সেখানকার ২০ একর জমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে হস্তান্তর করেছে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আবার সেটি বাফুফেকে ফুটবলের ট্রেনিংয়ের জন্য দিয়েছে। বনের মধ্যে ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পানয় সামাজিক মাধ্যম ও সুশীল সমাজে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এর দায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে দিচ্ছে অনেকে। বিষয়টি সহজভাবেই দেখছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘আসলে ফুটবল ফেডারেশন, ক্রিকেট বোর্ড সহ সকল খেলার অভিভাবক ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। কোনো সাফল্য আসলে এর যেমন কৃত্তিত্ব আসবে তেমনি কোনো ব্যর্থতারও দায় আমাদেরও নিতে হবে।’

কক্সবাজার বাফুফের ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে নির্বাচন করার কারণ সম্পর্কে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে প্রথমে বাফুফে চেয়েছিল ঢাকার মধ্যে একটি ট্রেনিং সেন্টার করার। ঢাকা ২০ একরের মতো জায়গা নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খেলাধূলার জন্য আন্তরিক। তিনি চান কক্সবাজারে একটি দর্শনীয় আন্তর্জাতিক ভেন্যু হোক। সেই আলোকে কক্সবাজারে বাফুফের জন্য জমি খোজা হয়েছিল।’

কক্সবাজারের খুনিয়াপালংয়ে অরণ্য জায়গা বেছে নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসন চারটি জায়গা খুজে পেয়েছিল। বাফুফে এই জায়গাটি পছন্দ করেছে এবং তাদের চাহিদার সঙ্গে মিলে। এরপর আমরা বিষয়টি মধ্যস্থাতা করেছি।’

এই ওয়েবসাইটের সকল লেখার দায়ভার লেখকের নিজের, স্বাধীন নিউজ কতৃপক্ষ প্রকাশিত লেখার দায়ভার বহন করে না।
এই বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -

সর্বাধিক পঠিত

- Advertisment -