Logo
শনিবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আঞ্চলিক খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  8. উন্নয়ণ
  9. করোনা
  10. কৃষিবার্তা
  11. ক্যাম্পাস বার্তা
  12. খেলাধুলা
  13. খোলা কলাম
  14. গণমাধ্যম
  15. গল্প ও কবিতা

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস: কেন হয়, কারা ঝুঁকিতে, কখন পরীক্ষা করতে হবে

প্রতিবেদক
admin
নভেম্বর ১৮, ২০২৩ ১০:১৯ অপরাহ্ণ

বিস্তারিত জেনে নিন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানার কাছ থেকে।

স্মৃতি মন্ডল

ছবি: সংগৃহীত
রোগটার নাম হচ্ছে ডায়াবেটিস আর যে ব্যক্তির ডায়াবেটিস আছে তিনি হচ্ছেন ডায়াবেটিক। আগে তাদের রোগী বলা হত এখন তা বলা হয় না। যার ডায়াবেটিস আছে তাকে ডায়াবেটিক পারসন হিসেবেই দেখেন চিকিৎসকরা। আগে না থাকলেও গর্ভাবস্থায় অনেকেরই ডায়াবেটিস দেখা দেয়।

কেন গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়, লক্ষণ, করণীয় বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানার কাছ থেকে।

ডা. ফারিয়া আফসানা জানান, কিছু কিছু ঝুঁকি আছে যেই ঝুঁকিগুলো যদি কারো থাকে তাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে-

বয়স যদি ২৫ এর বেশি হয়
যদি ওজন বেশি থাকে
যদি কোনো শারীরিক পরিশ্রম না থাকে এবং সারাদিন বসে থাকার প্রবণতা থাকে
পরিবারে কারো যদি ডায়াবেটিস থাকে
এমন যদি হয় যে আগেরবার গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ছিল এবং তারপর ভালো হয়ে গিয়েছিল,তাহলে দ্বিতীয় গর্ভধারণেও ডায়াবেটিসের উচ্চ ঝুঁকি থাকে
কিছু কিছু অসুখ যেমন থাইরয়েডের সমস্যা, হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ, পলিসিস্টিক ওভারি, কোলেস্টেরল বেশি এগুলো যাদের আছে তাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
আবার কোনো নারীর আগেরবার গর্ভাবস্থায় অনেক বড় সন্তান প্রসব হয়েছে, চার কেজি বা তার বেশি ওজনের সন্তান প্রসব হয়েছে- এরকম যদি হয় তারও উচ্চ ঝুঁকি আছে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার।
যে জাতির মধ্যে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি সেই জাতির নারীদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। বাংলাদেশে যেহেতু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতা অনেক দ্রুত গতিতে বাড়ছে সেজন্য এই এলাকাটিকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়। সুতরাং এই দেশের যারা বাসিন্দা তারা সবাই উচ্চ ঝুঁকির আওতায়।

গর্ভকালীন ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে স্ক্রিনিং করে বোঝা যায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আছে কি নেই। কিন্তু অনেক সময় গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে স্ক্রিনিং করেও ডায়াবেটিস শনাক্ত হয়। যেসব নারীদের উচ্চ ঝুঁকি আছে তাদের প্রথম ফলোআপের সময় স্ক্রিনিং টেস্ট করে নেওয়া উচিত যে ডায়াবেটিস আছে কি নেই।

সেই সময় যদি ডায়াবেটিস ধরা পরে তাহলে দুটি জিনিস হতে পারে। একটা হচ্ছে, তার আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল কিন্তু ধরা পরেনি বা পরীক্ষা করা হয়নি, এখন স্ক্রিনিংয়ের সময় ধরা পড়ল। আবার এমনও হতে পারে, ডায়াবেটিস এখনই শুরু হয়েছে। যেহেতু উচ্চ ঝুঁকিতে ছিলেন।

সুতরাং যাদের উচ্চ ঝুঁকি আছে তাদের প্রেগনেন্সির প্রথম ফলোআপে বা প্রথম তিন মাসের মধ্যে অবশ্যই স্ক্রিনিং করা উচিত। আর যাদের ওপরে উল্লেখ করা ঝুঁকিগুলোর কোনোটাই নেই তারা প্রেগনেন্সির ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে স্ক্রিনিং করতে পারেন বলে জানান ডা. ফারিয়া আফসানা।

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের লক্ষণ

প্রেগনেন্সি ডায়াবেটিস স্ক্রিনিংয়ের জন্য কোনো লক্ষণের জন্য অপেক্ষা না করার পরামর্শ দেন ডা. ফারিয়া আফসানা। কারণ ডায়াবেটিসের যে লক্ষণগুলো আছে যেমন ক্ষুধা বেশি লাগা, পানি পিপাসা বেশি পাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, দুর্বল লাগা এগুলো তখন হয় যখন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অনেক হাই হযে যায়। প্রেগনেন্সি ডায়াবেটিসের বেলায় এই লক্ষণগুলো হাই হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করে রুটিন স্ক্রিনিং করার কথা বলেন ডা. ফারিয়া আফসানা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো লক্ষণ ছাড়াই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয় যে ডায়াবেটিস আছে কি নেই তা জানার জন্য।

গর্ভধারণের আগে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করার পরামর্শ এই চিকিৎসকের। যার ডায়াবেটিস ধরা পড়ল না, তাকেও কিন্তু গর্ভধারণের প্রথম ফলোআপে লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ অনেক বেশি হাই ব্লাড সুগার না থাকলে লক্ষণ দেখা যাবে না, তাই গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসেই ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নেওয়া ভালো।

করণীয় কী ও কেমন খাবার খাওয়া উচিত

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হওয়ার পর কী করতে হবে তার আগে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা যায় কি না যাতে না হয় সেই প্রসঙ্গ ডা. ফারিয়া আফসানা বলেন, একজন মা যখন গর্ভধারণের পরিকল্পনা করবেন তখন তাকে কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যেমন- তার ওজন যেন স্বাভাবিক থাকে, পরিবারে কারো ডায়াবেটিস থাকলে স্ক্রিনিং করে নিতে হবে তার ডায়াবেটিস আছে কি না, যদি তার ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে খুব ভালো সুনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় আনতে হবে। ব্লাড প্রেসার কম-বেশি থাকলে স্বাভাবিক করে নিতে হবে, কোলেস্টেরল থাকলে ঠিক করে নিতে হবে। তাহলে কিন্তু মা এবং সন্তান দুজনেরই জটিলতা কমে।

দেখা গেল, এগুলো সব করেই কোন নারী গর্ভধারণ করলেন, কিন্তু পরে তার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ধরা পড়ল। এক্ষেত্রে তার খাদ্য ব্যবস্থা খুব সুনিয়ন্ত্রিত হতে হবে। মা যাতে অপুষ্টিতে না পড়েন অর্থাৎ খাবার খাওয়া বেশি কমিয়ে যে না ফেলেন এটাও করা যাবে না। কারণ বাচ্চার গ্রোথ ডেভেলপমেন্ট ঠিক রাখতে হবে।

এ সময় প্রোটিন জাতীয় খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ভাত, রুটির পরিমাণ একটু কমিয়ে দিতে হবে।

আরও
গর্ভাবস্থার শেষ ৩ মাসের সতর্কতা ও খাদ্য তালিকা
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যায়াম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভবতী মায়ের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হালকা হাঁটাহাঁটি করতে বলা হয়, যদি না কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকে। কোনো কোনো প্রেগনেন্সিতে প্রচুর ঝুঁকি থাকে, ব্লিডিং হয় সেরকম অবস্থায় অনেকের গাইনোকোলজিস্টদের নিষেধ থাকে হাঁটবেন না বা স্মপূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলা হয়। তাদের হাঁটার দরকার নেই। বাকিরা হালকা পরিশ্রম যেমন ঘরের ভেতরে হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হবে।

খাদ্য ব্যবস্থা এবং শরীরচর্চা করেও যদিও কারো ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে না আসে তখন চিকিৎসা শুরু করার কথা বলেন ডা. ফারিয়া আফসানা। এক্ষেত্রে সবার জন্যই চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অবশ্যই ইনসুলিন দেওয়ার কথা বলেন তিনি। মুখে খাওয়ার ওষুধ গর্ভাবস্থায় দেওয়া হয় না, কারণ এটা প্লাসেন্টা ক্রস করে বাচ্চার কাছেও চলে যেতে পারে। যা বাচ্চার জন্য ভালো নয়।

যা মনে রাখা উচিত বলছেন চিকিৎসক

প্রেগনেন্সি রিপ্রোডাক্টিভ এইজ বা প্রজননক্ষম নারীদের অবশ্যই ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানতে হবে-

ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং গর্ভধারণের আগেই করে নিতে হবে যে ডায়াবেটিস আছে কি নেই। যদি ডায়াবেটিস থাকে অবশ্যই তা নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে। যার নেই বা কখনোই ছিল না তার গর্ভধারণের প্রথম ফলোআপে স্ক্রিনিং করে নিতে হবে।
যদি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে তাহলে শুধু খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করলেই হবে না, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিকভাবে সবকিছু করতে হবে।
সন্তান জন্মদানের পর বাচ্চাকে বুকের দুখ খাওয়ানো কোনভাবেই বন্ধ করা যাবে না, ডেলিভালি নরমাল বা সিজার যেটাই হোক না কেন, প্রথম থেকে যত তাড়াতাড়ি মায়ের দুধ পান নিশ্চিত করা যাবে ততই বাচ্চার জন্য ভালো হবে।

সর্বশেষ - অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

পাপন-মাশরাফিকে আমরাও চাই, কিন্তু সে সময় দিতে পারবে?‍‍

চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনে মনোনয়ন নিলেন ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন এমপির পুত্র রুহেল

ঝটপট তৈরি ক রু ন বিফ ঝাল কষা

সাজেক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ৫৪ বিজিবির।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত জোভানের যে নাটক কাঁদিয়েছে দর্শকদের

হোয়াটসঅ্যাপ চলবে না নতুন বছরে যেসব ফোনে

মাওলানা আঃ মান্নান ভাইয়ের পিতাঃ জনাব কেরামত আলীর মৃত্যুতে জামায়াত নেতার শোক প্রকাশ

নারীদের আর্থিক পুরস্কার একের অধিক সন্তান জন্ম দিলে!

শরীয়তপুরে নিখোঁজের হওয়ার ৫ মাস পর উদ্ধার হলো যুবকের মরদেহস্টাফ রিপোর্টারএবি এম জিয়াউল হক টিটুশরীয়তপুরে নিখোঁজ হওয়া বাবুর মোল্লার মরদেহের হাড়গোড় ৫ মাস পর উদ্ধার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ।মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক রাত ৭ টার দিকে শরীয়তপুর সদর উপজেলার উত্তর বিলাশ খান গ্রামের সুমন চৌকিদারের বাড়ির পাশের ধান ক্ষেত থেকে মরদেহের হাড়গোড় উদ্ধার করে পালং মডেল থানা পুলিশ।নিহত বাবু মোল্ল্যা (২১) শরীয়তপুর পালং ইউনিয়নের নরবালাখানা এলাকার নুর ইসলাম মোল্লার ছেলে। রাকিব শরীয়তপুর শহরের সিদ্দিক কসাইর মাংসের দোকানে শ্রমিকের কাজ করত।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাকিব মোল্যা (১৭) এপ্রিল সোমবার (২৫) রোজায় ঈদের জামা কাপড় কেনার জন্য তার বন্ধুদের সাথে সন্ধ্যায় ইফতার শেষে বাড়ি থেকে বের হয়।এরপর অনেক রাত হয়ে গেলেও রাকিব বাড়ি ফিরে না আসলে, পরিবারের লোকজন সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে, না পেয়ে রাকিবের বাবা পালং মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।আজ মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর বিলাশখান গ্রামের সুমন চৌকিদারের বাড়ির পূর্ব পাশের ধান ক্ষেতে কয়েকজন শিশু বক পাখির সন্ধানে বের হয়, এবং ধান ক্ষেতে গিয়ে হাড়গোড় দেখতে পায়।এরপর শিশুরা ভয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা শরীয়তপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিলাল হোসেন খান কে জানায় পরে বিল্লাল খান পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে হাড়গোর উদ্ধার করে।হাড়গোর উদ্ধার করলেও পুলিশ মরদেহটির মাথা খুঁজে পায়নি। উদ্ধারের সময় হাড়গোরের পাশে রাকিব-৭ লেখা একটি জার্সি ও একটি মোবাইল উদ্ধার করেন । ওই জার্সি দেখে রাকিবের পরিবার পুলিশকে জানায় এই মরদেহ রাকিবের।নিহত রাকিব মোল্যার বাবা নুর ইসলাম মোল্লা বলেন, আমার ছেলে ঈদের মার্কেট করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। দীর্ঘদিন আমি পথে প্রান্তরে আমার ছেলেকে খুঁজেছি। যারা আমার ছেলেকে মেরেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।পালং মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি মরদেহর হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই হাড়গোড়ের পাশে পাওয়া একটি জার্সি দেখে নুরুল ইসলাম নামে একজন দাবী করেছে মরদেহটি তার ছেলের। মরদেহটির ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষা পর মরদেহটির পরিচয় জানা যাবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রাজবাড়ীতে পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি;দুই ভূয়া পুলিশ আটক