নিজস্ব প্রতিবেদক
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত, ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে, এটাই সবচেয়ে বড় সত্য। গণতান্ত্রিক অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি, এটাই সবচেয়ে বড় শক্তি। আর সেই শক্তিটা আছে বলেই এবং জনগণের শক্তিতে আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই এখানে কাজ করতে পেরেছি। আজকে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশ পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল।
গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের আমলের নির্বাচনের ইতিহাস এতই কলুষিত যে এ নিয়ে কথা বলার কোনো অধিকারই নাই। কারণ তাদের প্রত্যেকটি ইলেকশন আমরা দেখেছি। সেই ’৭৭-এর হ্যাঁ-না রাষ্ট্রপতি, ’৭৯-এর সাধারণ নির্বাচন, ’৮১-এর নির্বাচন—প্রত্যেকটি নির্বাচনই আমাদের দেখা। যাদের নির্বাচনের এত কলুষিত রেকর্ড তাদের মুখে এখন নির্বাচনের প্রশ্ন। আজকে নির্বাচনে যতটুকু উন্নতি আমরা করেছি সবগুলি আমাদেরই সিদ্ধান্ত, আমাদেরই চিন্তা। এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো অর্থই হয় না।
দেশে ফিরতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাধা দেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেদিন যদি জোর করে ফিরে না আসতাম আর জেল না খাটতাম, তাহলে হয়তো বাংলাদেশের জনগণের এত ভোট পেতাম না। সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে কিন্তু আজকে তিন বার পর পর সরকারে আছি। এখন এত কথা এই জন্য বললাম যে, ইতিহাসটা মানুষ তো ভুলে যায়, আমিই তো অনেক কথা ভুলে যাচ্ছি। আজকে ৪১ বছর চড়াই-উতরাই পার হয়েই এখানে আসতে হয়েছে।
পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধে গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করালো ড. ইউনূস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটা এমডির পদে তাকে থাকতে হবে। আমরা তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। একটা উপদেষ্টা হিসেবে থাকা আরো উচ্চমানের। সেটা সে ছাড়বে না, তার এমডিই থাকতে হবে।
সরকারপ্রধান বলেন, সেতুর কাজ হয়ে গেছে, এখন সেতু নিয়ে কথা বলে পারছে না। এখন রেলের কাজ চলছে, এখন রেলের কাজ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয়, আমাদের সবার উনাকে চিনে রাখা উচিত। রেলগাড়ি যখন চালু হবে, তখন উনাকে নিয়ে রেলে চড়ানো উচিত। আর খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। কারণ বিভিন্ন স্প্যানগুলো যে বসাচ্ছে, ওটা ছিল তার কাছে জোড়াতালি দেওয়া। তো বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না, চড়লে ভেঙে পড়বে। তার সঙ্গে তার কিছু দোসররাও। এখন তাদের কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে, তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটা চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেয়া উচিত। মরে যাতে না যায়।