জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

0
5

টিপু সুলতান , জবি প্রতিনিধি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেহেদী হাসান রাব্বি নামে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন রাব্বি। নিহত মেহেদীর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কলেজ পাড়াতে। আজ সোমবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) এলাকায় নিজ বাসায় দুপুরে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল রাতে (রোববার ) মেহেদী দরজা বন্ধ করে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। আজ (সোমবার) সকালে রাব্বিকে পরিবারের সদস্যরা ঘুমানো অবস্থায় দেখেন। কিন্তু দুপুরে তার দরজা বন্ধ দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। অনেক চেষ্টা করে দরজা খুলতে না পেরে শেষে দরজা ভেঙে দেখেন মেহেদী হাসান রাব্বি’র মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়। রাব্বির মৃত্যুতে পরিবারের শোকের ছায়া নেমেছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।এই বিষয়ে জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাবু বলেন, নিহত মেহেদী হাসান রাব্বি জবিস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। আমরা জানতে পারি গত রাতে সে নিজ রুমে ঘুমাতে যান, আজ দুপুর পর্যন্ত তার রুম বন্ধ থাকলে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয় । তখন তারা দরজা ভেঙ্গে দেখে মেহেদী’র মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। আমরা ঘটনায় খুব শোকাহত।
নিহত মেহেদী’র বিষয়ে তার বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটি আমার নিজ জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হওয়ার কারণে কাছ থেকে চিনি। সে খুব অমায়িক ছেলে ছিল। আমি যতটুকু জানি তার প্রেমঘটিত এবং অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা ছিল না। এক বছর আগে তার বাবা মারা যান। এজন্য তার মন খারাপ ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা করেছি খোঁজ খবর রাখার কিন্তু এর মাঝে সে আর কিছু জানায়নি। বর্তমানে ছেলে মেয়েরা কষ্টগুলো শেয়ার করতে না পারায় হতাশায় থাকে। আমরা ছেলে মেয়েদের জন্য পৃথক পৃথক কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করেছি। ছেলে মেয়েদের সুবিধার জন্য জেলা ছাত্র কল্যাণে আমি নিয়মিত সময় দেই। খবর পাওয়া মাত্রই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি।
এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এই ঘটনায় আমি এখনো অবগত নই। অবগত হওয়ার পর বিস্তারিত বলতে পারবো।