জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলায় দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

0
177
 পটুয়াখালী প্রতিনিধি। 
 বাউফল-বগা ডিসি সড়কের রাজনগর এলাকায় ঈদুল আযাহা ‍উপলক্ষে তিনটি তোরণ নির্মান করা হয় । স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১ ঘটিকার সময়ে মৃধা ও হাওলাদার পরিবারের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ ও তার ভাই হাসিব হাওলাদারের ভাড়াটিয়া মাদাকাসক্ত কিছু সন্ত্রাসীরা তোরণ থেকে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি খুলে ময়লার ভাগারে ফেলে দেয় ।  এর আগে দিনে দুপুরে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ ‍উঠে।বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বগা ইউনিয়নের শাপলাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ ও তার ভাই হাসিব হাওলাদার ৮/১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে শাপলাখালী মোড়ে যায়। তারা প্রথমে ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। এরপর সোহাগ মৃধার ফার্নিচারের দোকান, জসীমের মুদির দোকান, কবিরের ফার্ম্মেসী ও তোফায়েল এর চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে দোকান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সময় সোহাগ মৃধাকে আটক করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। ঘন্টাব্যাপী তান্ডব শেষে ফিরে যাওয়ার সময় রাসেল নামের (২৫) এক মোটরসাইকেল চালককে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে তারা। আশংকাজনক অবস্থায় রাছেলকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। হামলার শিকার সোহাগ মৃধা বলেন, ২০১৩ সালের ৫ আগষ্ট মনির মৃধাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। ৯ আগষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনির মৃধা মারা যান। ওই ঘটনায় বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান ও তার বাবা বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার অন্যতম স্বাক্ষী আমি। এরই জের ধরে হাসান মাহমুদ ও হাসিব হাওলাদার আজকে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছে। সার্বিক বিষয়ে গনমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাতে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা নুরে রোমানকে আটক করে রেখেছিল সোহাগ মৃধা। এ খবর পেয়ে আমার ভাই হাসিব তাকে উদ্ধার করতে যায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছে। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে  ক্ষোভের সৃষ্টি  হয়েছে। তারা ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর  দাবি জানাই।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জের ধরে কিছু ঘটনা ঘটেছে। এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।