
ফারিয়াজ ফাহিম
স্বাধীন নিউজ, জামালপুর প্রতিনিধি।
জামালপুর সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের সাপলেঞ্জা এলাকায় কেনা জমিতে ঘর তুলতে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে দেবর সুজন মিয়ার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে জামালপুর সদর থানার এসআই জিকরুল ও আলমগীর মুনসুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে ভোক্তভোগী প্রবাসী রোকন মিয়ার স্ত্রী মাজেদা খাতুন বলেন, বিগত ২০২০ সালে আমি এবং আমার স্বামীর নামে সাপলেঞ্জা মৌজার বিআরএস ১৮৫ নং দাগের ১২ শতাংশ জমি এলাকার আঃ রশিদের নিকট থেকে ক্রয় করে নেই। পরে সেই জমির খারিজ আমাদের দুইজনের নামে করে নেই। তিনি বলেন বর্তমানে আমার স্বামী বিদেশে থাকে এবং আমাদের ঘরে তিনজন সন্তান রয়েছে এর মধ্যে বড় মেয়ে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয় পড়াশুনা করেন। সেমতে মাজেদা খাতুন তাদের বাড়িতে ভাল মানের কোন ঘর না থাকায় তাদের ওই কেনা জমিতে সম্প্রতি ইটবালি এনে পাকা একটি স্থাপনা নির্মান করতে গেলে সুজন মিয়া এতে বাঁধা দেয়। এছাড়া সুজন মিয়া তার দলবল নিয়ে মাজেদা বেগমকে মারধর করে। মাজেদা বেগম বলে, তাদের ক্রয় করা জমিতে ঘর তুলতে হলে ৭ লাখ টাকা দিতে হবে, নচেত ওই জায়গায় ঘর উঠাতে দেবনা বলে হুমকী দেন সুজন মিয়া গং। এ ব্যাপারে
আঃ রশিদ বলেন, এই জমি আমার নামে বিআরএস, ডিজিটাল রেকর্ড ও জমা খারিজ মূলে ১২ শতাংশ জমি মাজেদা ও রুকনের নিকট বিক্রি করেছি।এ ব্যাপারে সুজন মিয়ার পিতা রফেত আলী বলেন, আমার তিনজন ছেলে সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে দুইজনই বিদেশ থাকে। তাদের দুইজনরই বাড়ির জমি সেটেল করা আছে। ছোট ছেলে সুজন মিয়ার কোন গতি না থাকায় তার বাড়িটি বড় ছেলে রোকন মিয়ার জমিতে ব্যবস্থা করে দিতে চাই। কিন্তু বড় ছেলে রোকন মিয়া ও তার স্ত্রী মাজেদা খাতুন তা মানছেনা। এ নিয়ে অনেকবার দেন দরবারও চলছে। এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার এসআই জিকরুল জানান,অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাদি- বিবাদি দুইজনের সঙ্গেই কথা হয়। পরে বিষয়টি নিরসনের জন্য তাদের পরামর্শ দিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।।