
ফারিয়াজ ফাহিম
স্বাধীন নিউজ, জামালপুর প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের পর এবার ৬ দফা কর্মসূচী হয়েছে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে। গতকাল জামালপুর জেলার জামালপুর টাউন জংশন রেলওয়ে স্টেশনে এ কর্মসূচী পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেহেদী হাসান রুবেল। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ তত্ত ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, ঢাবি শিক্ষার্থী রনির শুরু করা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে ৬ দফা কর্মসূচী পালন করছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পডুয়া শিক্ষর্থীরা। এর আগে ঢাকায় এ কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহিন রুবেল ও কাজী আশিকুর রহমান। এ ছাড়া ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গত এক সপ্তাহ ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। গত মাসে রেলের টিকিট কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন রনি। এরপর ঈদুল আজহার আগে ৭ জুলাই থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে হাতে লেখা একটি বোর্ড নিয়ে ৬ দফা কর্মসূচী শুরু করেন মহিউদ্দিন। এমনকি ঈদের দিনেও তিনি অবস্থান কর্মসূচি থেকে সরে যাননি বলে জানা গেছে।
রেলওয়ের দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে তাদের ছয় দফা দাবি হলো, টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করা ও হয়রানির ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া, যথোপযুক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ, অনলাইনে কোটায় টিকিট ব্লক করা বা বুক করা বন্ধ করা ও অনলাইন-অফলাইনে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া, ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক-তত্ত্বাবধায়কসহ অন্য দায়িত্বশীলদের কর্মকান্ড সার্বক্ষণিক নজরদারি ও শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেলসেবার মান বাড়ানো এবং ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
জামালপুর টাউন জংশন রেলওয়ে স্টেশনে ৬ দফা কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া মেহেদী হাসান রুবেল বাংলাদেশ কন্ঠকে বলেন, “বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ৬ দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলছে। সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরে যাবো না। আমার ইচ্ছা ছিলো ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আমার বন্ধুদের সাথে এ কর্মসূচী পালন করবো কিন্তু আমি ট্রেনের টিকিট না পাওয়ার কারণে আমাকে এখানেই থেমে যেতে হয়। তাই আমি এখানেই আমার কর্মসূচী পালন করছি”।।