বিনোদন ডেস্ক
’মুদি দোকানে তখন তরকারী বলতে ছিল আলু আর পেঁপে। যেহেতু পেঁপের দাম ছিল কম (২
টাকা কেজি) তাই একমাত্র পেঁপেই নিতাম। আমার মনে আছে,৭ মাস পেঁপে ভর্তা ছাড়া কিছু খাইনি’
কথাগুলো বলেছেন দেশীয় টেলিভিশনের খ্যাতিমান অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। স্বামী বৃন্দাবন দাসের
জন্মদিন উপলক্ষ্যে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন খুশী। সেখানে সংসার জীবনের নানা চড়াই-উৎরায়ের কিছুটা সামনে এনেছেন তিনি। সংসার শুরুর গল্পে তিনি লিখেছেন, ’আমরা দুজনায় মোটামুটি বেশ স্বচ্ছল পরিবারের ছিলাম। অন্তত মাছ/মাংস ছাড়া ভাত খাইনি কোনদিন। আমাদের সংসারের একদম শুরুর দিকে মাত্র ২০০০ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করতো বৃন্দাবন। ১৪০০ টাকা ঘর ভাড়া,বাকী ৪০০ টাকা পাশের মুদি দোকানে জমা দিয়ে মাসের চাল আর তেল নুন নিতাম। ২০০ টাকা হাত খরচ রাখতাম থিয়েটারের জন্য। বেশীরভাগ সময় রির্হাসেলে হেঁটে যেতাম। ফেরার পথে রিক্সায়।’
সংসার যুদ্ধে একে অপরের ঢাল হয়ে ছিলেন খুশি-বৃন্দাবন। শত অভাবের মধ্যেও তাদের ভালোবাসা ছিলো চির অটুট। সে গল্পে খুশি লিখেছেন, ’একদিন অফিস থেকে ফিরে বৃন্দাবন খুবই বেদনার্তভাবে কান্না করতে লাগলো,কান্নার ব্যকুলতা বোঝানো যাবে না,এখনো মনে হলে আমার চোখ ভিজে যায়। সেই সাথে একি কথা,’তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও…..’। আমি যতোই বলি কি হয়েছে,সে একই কথা বলে আর কাঁদে। অনেক পরে শান্ত হলে জানলাম,সে যেহেতু তার বসের পিএ ছিল,বসের একটা লেখা পৌঁছে দেবার জন্য সে মেট্রোপলিটন হোটেলের একটা সেমিনারে গিয়েছিল। লাঞ্চ টাইম হওয়ায় তাকে বসের পক্ষে লাঞ্চ খেতে হয়েছে। সে খাবারে মাছ মাংস দুই ছিল। যেহেতু আমরা ৬/৭ মাসের বেশী মাছ মাংস খেতে পারি না অর্থ সংকটের জন্য,সে কারনে এই বিলাসী খাবার খেয়ে সে নিজেকে ক্ষমা করতে পারে নাই।’