
জাহিরুল ইসলাম
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার টাঙ্গন নদীর ব্রিজের নিচ থেকে মাহফুজা খাতুন (১৪) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার(২১জুলাই)সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও পৌরশহরের টাঙ্গন নদীর ব্রিজের নিচ থেকে বস্তা বন্দি অবস্থায় উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা৷বর্তমানে সেই উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মাহফুজা খাতুন দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের ক্বারী মোস্তফা কামালের মেয়ে৷ মাহফুজা খাতুন ঠাকুরগাঁও সদরের,খাতুনে জান্নাত কামরুন্মেছা কাওমী মহিলা মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করতেন।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় জনগণ জানান,নদীর নিচে বস্তা পরে থাকা অবস্থায় দেখতে পাই আমরা সবাই মনে করেছি মারা গেছেন তাই কেউই কাছে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না, পড়ে এক সাংবাদিক কে খবর দিলে সে আসেন।
সেই সাংবাদিক জয় মহন্ত অলোক এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাকে কেউ ফোন করে বলেন যে টাঙ্গুনের নিচে একটি লাশ পাওয়া গেছে তৎকালীন আমি ছুটে আসি ঘটনাস্থলে,এসে দেখি ঠিকই, বস্তা বন্দি এটি লাশ৷ পরে আমি ছবি তোলার জন্য একটু কাছে গিয়ে দেখি বস্তাটি নরে উঠলো। তাৎক্ষণিক ভাবে আমি স্থানীয়দের বস্তাটি খুলতে বললাম। বস্তা খোলার পর দেখা যায়, সে বেঁচে আছে। পরে তৎক্ষণাকে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মাহফুজা খাতুনের বড় বোনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে জানান, আমার বোন টাঙন নদীর পাশে এক মাদরাসায় পড়াশোনা করতো। ঘটনা কি ঘটেছে আমরা জানিনা।আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে যাচ্ছি।
খাতুনে জান্নাত কামরুন্মেছা কাওমী মহিলা মাদরাসার মুহতামিম হযরত আলী বলেন, স্বাভাবিক নিয়মের মত রাত ১১ টায় সবাই ঘুমিয়ে পরে৷ পরে ফজরের সময় তাকে রুমে দেখতে না পেয়ে তার সহপাঠিরা তাকে খোঁজাখুজি করে৷ তার অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়৷ তারপর পাশেই টাঙন নদীর ব্রিজের নিচে বস্তা বন্দি অবস্থায় তাকে দেখা গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার (ওসি) কামাল হোসেন সাথে কথা হলে তিনি জানান,মাহফুজা শহরের একটি মাদরাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করেন৷ মেয়েটির সাবেক স্বামী তার দলবল নিয়ে রাত আনুমানিক ২-৩ টার দিকে মেয়েটিকে কৌশলে মাদরাসা থেকে বের করে নিয়ে আসেন৷ পরে নির্যাতন করে তাকে বস্তা বন্দি করে টাঙন নদীর ব্রিজের নিচে ফেলে রাখে। পরে সকালে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।