ডাব বিক্রি করে ভাগ্য বদলেছে দেলোয়ারের!

 

মোঃ তৌকির উদ্দিন আনিছ

প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যবসায়ীর সাফল্যের গল্প নয় বলছিলাম একজন ডাব বিক্রেতার কথা। যিনি ডাব বিক্রি করেই প্রতি মাসে আয় করেন ষাট হাজার টাকা।

 

সততা আর পরিশ্রমই যে একজন মানুষকে সাফল্যের দৌড়গড়ায় নিয়ে যায়, তা এই ডাববিক্রেতাকে দেখলেই অনুমান করা যায়।

আশি টাকায় ডাব কিনে প্রতিটি ডাব ১০০ টাকায় বিক্রি করেন দেলোয়ার। দৈনিক একশ ডাব বিক্রি করতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আর একশ ডাব বিক্রি করতে পারলেই কেল্লাফতে! সেদিন অনায়েশেই দিনকার হাজিরা দাঁড়ায় দুই হাজার টাকা। আর এভাবেই প্রতি মাসে গড়ে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন এই ডাব বিক্রেতা। যা রীতিমতো অবাক করা বিষয়। ঝড় বৃষ্টি কংবা তীব্র গরমের উষ্ণতা! কোন কিছুই দমাতে পারেনা অদম্য দেলোয়ারকে আর তাইতো প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী না হয়েও সফল তিনি। বন্দরনগরীর আগ্রাবাদে সাংগ্রিলা রেস্টুরেন্টের পাশেই ভাসমান দেলোয়ারের এই ডাবের দোকান। ডাব বিক্রি করেই এখন রীতিমতো আলোচনায় আছেন তিনি। তিন চাকার একটি ভ্যানগাড়ীতে বোঝাইকৃত ডাব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন সকাল থেকে সন্ধ্যা অবদি। দৈনিক ডাব বিক্রি করেন ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। তবে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতের মৌসুমে ডাব বিক্রি একটু কম হয় বলে জানান তিনি। দেলোয়ার এসব ডাব রেয়াজউদ্দীন বাজারের পাইকারী আড়ত থেকে সংগ্রহ করেন, আড়ি হিসেবে ডাব কিনতে হয় তাকে। এক আড়িতে ১০০ ডাব থাকে। এসব ডাবের দাম পরিবহন খরচসহ ৮ হাজার টাকা পড়ে তার আর বিক্রি করেন দশ হাজার টাকায়। এত সবকিছু মিলিয়ে অনায়েসে বলাই যায় ডাব বিক্রির এই ব্যবসায় সফল দেলোয়ার। দেলোয়ার এই ব্যবসা করে সংসার চালান ৮ সদস্যের পরিবারের। মা বাবা আর স্ত্রীসহ দুই সন্তান নিয়ে থাকেন আগ্রাবাদের মোগলটুলী দাম্মা পুকুর পাড়ে।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এইসব ব্যবসায়ীদের স্বল্পসুদে ঋণের ব্যবস্থা করে গেলে তৈরী হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান, এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

এই ওয়েবসাইটের সকল লেখার দায়ভার লেখকের নিজের, স্বাধীন নিউজ কতৃপক্ষ প্রকাশিত লেখার দায়ভার বহন করে না।
এই বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -

সর্বাধিক পঠিত

- Advertisment -