Logo
বৃহস্পতিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আঞ্চলিক খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  8. উন্নয়ণ
  9. করোনা
  10. কৃষিবার্তা
  11. ক্যাম্পাস বার্তা
  12. খেলাধুলা
  13. খোলা কলাম
  14. গণমাধ্যম
  15. গল্প ও কবিতা

ডায়াবেটিস রোগীর খাবার

প্রতিবেদক
admin
নভেম্বর ১৬, ২০২৩ ১০:১৫ অপরাহ্ণ

স্বাধীন নিউজ ডেস্ক।

ডায়াবেটিস হলে রোগীকে খাবারের ব্যাপারে সচেতন হতে হয়। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীকে পাঁচ ধরনের খাবার খেতে হয়। সেগুলো হলো- ফলমূল ও শাকসবজি, শ্বেতসার সমৃদ্ধ খাবার, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, ডাল ও বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার এবং চর্বি জাতীয় খাবার।

ফল ও সবজি
ফলমূল ও শাকসবজিতে ক্যালরি থাকে কম, অন্যদিকে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও আঁশ থাকে বেশি। তাই ডায়াবেটিস রোগী প্রচুর পরিমাণে ফল ও শাকসবজি খেতে পারেন। এ খাবারগুলো রোগীকে নতুন স্বাদ ও বৈচিত্র্য দিবে। ফলের জুস ও স্মুদি না খেয়ে সরাসরি ফল খাওয়া ভালো। কারণ ফরাসরি ফল খেলে সেখান থেকে আঁশ পাওয়া যায়। ফল পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া হার্টের বিভিন্ন সমস্যা, স্ট্রোক ও কয়েক ধরনের ক্যানসার থেকে সুরক্ষিত রাখে। হাতের তালুতে যে পরিমাণ আটে এক পরিবেশনে ততটুকুই খাওয়া ভালো।

বাঙ্গি, জাম্বুরা, খেজুর, আলুবোখারা খাওয়া যায়। সবজির মধ্যে গাজর, মটরশুঁটি, বরবটি ও শিম খাওয়া যেতে পারে। ভাতের সঙ্গে মটরশুঁটি, মাংসে বেশি করে পেঁয়াজ বা একমুঠো পালংশাকও যোগ করা যেতে পারে। কম শর্করাযুক্ত শাকসবজির হিসেবে মাশরুম, শশা, পালংশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি ও লেটুস খাওয়া যেতে পারে।

শ্বেতসার-সমৃদ্ধ খাবার
আলু, ভাত, রুটি, নানরুটি, পাস্তা, পাউরুটি ও কাঁচকলা প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার আছে। এর সবগুলোয় শর্করা বা চিনি থাকে, যেগুলো আমাদের শরীরের ভেতরে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। এ গ্লুকোজই আমাদের দেহের কোষগুলোর জ্বালানি হিসেবে কাজ করে।

কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের খাবারগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ভালো। এমন কিছু শ্বেতসার জাতীয় খাবার হলো- লাল চাল ও বাসমতি চালের ভাত, লাল আটার রুটি, পাস্তা এবং লাল আটার পাউরুটি। এগুলোতে আঁশের পরিমাণও বেশি থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই খাবারে শর্করার পরিমাণ কমাতে চাইলে আগে সাদা চালের ভাত ও সাধারণ আটা-ময়দার রুটি ও পাউরুটি খাওয়া কমাতে হবে।

প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার
ডায়াবেটিস রোগীর প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য ডিম ও মাছ-মাংস খেতে হবে। তবে লাল মাংস যেমন- গরু, খাসি ও ভেড়ার মাংস এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন সসেজ, পেপারনি ও সালামির পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে, কারণ এগুলো খাওয়ার সঙ্গে ক্যানসার ও হার্টের রোগের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। সামুদ্রিক মাছসহ বিভিন্ন তৈলাক্ত মাছে প্রচুর ওমেগা-৩ থাকে, যা হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। অন্যান্য প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে শিম, বরবটি ও অন্যান্য বিনজাতীয় খাবার, ডাল এবং বিভিন্ন ধরনের বাদাম; যারা নিরামিষাশী বা ভেগান খাদ্যাভ্যাস মেনে চলেন তাদের জন্য এগুলো প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করে।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার
দুধ, পনির ও দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন থাকে, যা হাড়, দাঁত ও পেশির গঠনের জন্য খুব উপকারী। কিন্তু কিছু দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে চর্বি, বিশেষ করে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই কম চর্বিযুক্ত বিকল্পগুলো বেছে নেওয়া জরুরি। ডায়াবেটিস রোগী সরাসরি দুধ খেতে পারেন। প্রতিবার এক গ্লাস খাওয়া ভালো। এ ছাড়া ওটস বা নাশতায় সিরিয়ালের সঙ্গে মিশিয়েও দুধ খেতে পারেন।

চর্বি ও বিভিন্ন ধরনের তেল
ডায়াবেটিস রোগীর দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু চর্বিজাতীয় খাবার থাকা প্রয়োজন। স্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে এমন তেল যেমন- অলিভ অয়েল বা অন্যান্য ভেজিটেবল অয়েল ও বাদাম খেলে চর্বির চাহিদা মিটে যায়। অসম্পৃক্ত বা আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট হার্টকে সুস্থ রাখে।

প্রতিদিন একই ধরনের খাবার না খেয়ে, নানা রকমের ফলমূল, শাকসবজি ও কিছু শ্বেতসার-জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। যেমন- লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি ও আলু। চিনি, লবণ ও চর্বিজাতীয় খাবারের পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিতে হবে। যতটুকু না খেলেই নয় ঠিক ততটুকুই খাওয়া। প্রতিদিন সকালের নাশতা, দুপুরের ও রাতের খাবার সময়মতো খেতে হবে। কোনো বেলার খাবার যেন বাদ না পড়ে।

সর্বশেষ - অপরাধ