ডেস্ক প্রতিবেদন
পোকামাকড় ও প্রাণির প্রতি মমত্ববোধের কারণে মানুষকে শ্রেষ্ঠ প্রাণির স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। অথচ বর্তমান সময়টা রুক্ষ। একদিকে মানুষ মরছে, অন্যদিকে কেউ কেউ উল্লাসে ভাসছে। কিংবা চালিয়ে যাচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। কেউ ক্ষুধার যন্ত্রণায় ধুঁকছে, কেউ দেদারসে খাদ্য নষ্ট করছে। কারও বস্ত্রহীনতা, কারও শপিং করাই প্রিয় শখ।
কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছে না। তাকানোর হয়তো প্রয়োজন অনুভব করছে না বা সময় কোথায় সময় নষ্ট করার। যান্ত্রিক যুগ কিংবা এই রোবটের এই সময়ে মানুষও যেন দিনে দিনে সহানুভূতিহীন হয়ে পড়ছে।
আজ ১৩ নভেম্বর, বিশ্ব দয়া বা সহানুভূতি দিবস। ২০১০ সালের নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখেই বিশ্ব সহানুভূতি দিবসকে নতুন মাত্রা দেয় বিশ্ব সহানুভূতি আন্দোলন। সেই বছর থেকে বছরের ১৩ নভেম্বর সারা বিশ্বে বিভিন্ন দেশে দেশে সহানুভূতির বার্তা ছড়িয়ে দিতে পালন করা হয় বিশ্ব সহানুভূতি বা দয়া দিবস।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীর উন্নয়নের পাশাপাশি শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো যখন আত্মশক্তির হাতিয়ার হিসেবে পারমাণবিক শক্তির উন্নয়ন ও আবিষ্কারে ব্যস্ত, ঠিক তখনই ১৯৯৭ সালে জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিশ্ব শান্তি সম্মেলন। আমন্ত্রণ করা হয়েছিল সারা বিশ্বের জননেতাদের। তাদের নিজ নিজ দেশের শান্তির গল্প বলার জন্য। সেই সম্মেলনেই সিদ্ধান্ত হয় ১৯৯৮ সালে পালন করা হবে আরেকটি সম্মেলন। গঠন করা হয় ‘বিশ্ব সহানুভূতি আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। সেই সংগঠনই পালন করে প্রথম বিশ্ব সহানুভূতি দিবস।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষ একটু ভালো ব্যবহার পেলে, একটু উৎসাহ পেলে অনেক ভালো কাজ করতে পারে, অনেক বড় বাধা অতিক্রম করতে পারে। সহানুভূতির ফলে সহজেই মানুষ জয় করতে পারে মানুষের মন। দয়া-মায়ার বিষয়টি মূলত একটি ভাবনা, একটি অনুভূতি এবং একটি বিশ্বাস, যা মূলত অপরের ভালোর সঙ্গে সম্পর্কিত। আর নির্দয় হওয়া মানে অসহিষ্ণু মতবাদ, অপরের ভালো সম্পর্কে উদাসীন। দয়ালু বা সহানুভূতিশীল বেশি হলে মানুষের আয়ুও বাড়ে।