Logo
সোমবার , ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আঞ্চলিক খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  8. উন্নয়ণ
  9. করোনা
  10. কৃষিবার্তা
  11. ক্যাম্পাস বার্তা
  12. খেলাধুলা
  13. খোলা কলাম
  14. গণমাধ্যম
  15. গল্প ও কবিতা

নারী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনার জটিলতা হ্রাস করা হোক

প্রতিবেদক
admin
অক্টোবর ৩০, ২০২৩ ৯:৪২ অপরাহ্ণ

স্বাধীন নিউজ ডেস্ক।

জীবিকা নির্বাহের তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বিপুলসংখ্যক নারী শ্রমিক পাড়ি জমাচ্ছেন। তাদের কেউ কেউ সেখানেই মৃত্যুবরণ করছেন। নারী শ্রমিকরা মারা যাওয়ার পর নানা জটিলতায় তাদের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বিদেশেই তাদের সমাহিত করতে হচ্ছে।

বণিক বার্তায় প্রকাশ, সরকারের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিদেশে ৫২১ প্রবাসী নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৭০ জনের মরদেহ দেশে আনা সম্ভব হয়। বাকি ২৫১ জনকে বিদেশেই সমাহিত করা হয়েছে।

নানা জটিলতায় নারী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে আনা হয়নি। এক্ষেত্রে অভিবাসনসংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা ও খরচের কারণে পরিবারের সদস্যরাই মরদেহ দেশে ফেরাতে চান না। আবার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যয় ও ঝামেলা এড়াতে মৃত শ্রমিকের মরদেহ দেশে পাঠানোর দায়িত্ব নিতে চায় না। এছাড়া নথিপত্রের সমস্যার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের অসহযোগিতার কারণেও অনেক সময় মরদেহ আনা সম্ভব হয় না।

বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএমএসএ) অভিযোগ, প্রশাসনিক জটিলতা, নথিগত সংকট, সংশ্লিষ্ট দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশী দূতাবাসের অসহযোগিতাসহ নানা কারণেই বিদেশে মৃত নারী শ্রমিকদের বড় একটি অংশের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষ করে প্রশাসনিক নানা জটিলতার কারণে মৃতের পরিবার বা স্বজনরা মরদেহ ফিরিয়ে আনার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।

দেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্যস্থল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। এর মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক যান। দেশটি মোট নারী অভিবাসীর ৪৪ দশমিক ১৮ শতাংশের গন্তব্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) যান ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়া ওমানে যাচ্ছেন ১০ দশমিক ২২ শতাংশ, জর্ডানে ১৬ দশমিক ৬৯ ও কাতারে যাচ্ছেন ৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর বাইরেও বাহরাইন, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, মরিশাস ও হংকংয়ে কিছুসংখ্যক নারী শ্রমিক যাচ্ছেন।

বিদেশে মৃত নারী শ্রমিকদের প্রায় এক-পঞ্চমাংশের প্রাণহানির কারণ হিসেবে আত্মহত্যার বিষয়টি উঠে আসে। গত পাঁচ বছরে মৃত ৫২১ জন নারী শ্রমিকের মধ্যে ১১০ জন আত্মহত্যা করেছিলেন। সে হিসেবে বিদেশে মৃত নারী শ্রমিকদের ২১ শতাংশেরই মৃত্যুর কারণ ছিল আত্মহত্যা। এর মধ্যে ২০১৮ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন একজন। পরের বছর এ সংখ্যা ২২-এ দাঁড়ায়। এরপর ২০২০ সালে ২৪ জন, ২০২১ সালে ২৬ ও ২০২২ সালে ৩৭ জন আত্মহত্যা করেন। বাকিদের অসুস্থতা, দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণে মৃত্যু হয়েছে।

দেশে আসা রেমিট্যান্সে প্রবাসী নারী শ্রমিকদের বড় অবদান রয়েছে। বিদেশে নতুন পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুর্ঘটনারও শিকার হন অনেকে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় নারী শ্রমিকদের অনেকেই নানা ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা গেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। একই কারণে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে। তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেককে বিদেশেই সমাহিত করতে হচ্ছে।

এভাবে পরিবারের সদস্যকে শেষবারের মতো দেখতে না পারার ট্রমা নিয়েই বাকি জীবন কাটাতে হয় অন্য সদস্যদের। বস্তুত এটি একটি অমানবিক আখ্যান। সবচেয়ে বড় কথা নারী শ্রমিকরা বিদেশে নির্যাতনের শিকার হন, এ সমস্যার কোনো কার্যকর সমাধান এখনো গড়ে ওঠেনি; বরং এটিকেই জীবনের নিয়তি গণ্য করে ভুক্তভোগীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। এমন একটি বাস্তবতা দীর্ঘদিন ধরে চলে এলেও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও দেশগুলোর দূতাবাস কাঙ্ক্ষিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

যারা দেশ থেকে বিদেশে গিয়ে শ্রম দেন, যাদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে, তারাই মৃত্যুর পর অবহেলিত হন। দেশের বাইরে চলে যাওয়াই যেন তাদের কাল হয়ে দাঁড়ায়। যে কারণে শেকড়ের কাছে ফিরে এসে জন্মভূমিতে সমাহিত হওয়ার ভাগ্য তাদের হয় না। জীবিত অবস্থায় নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়া থেকে মুক্তি ও মৃত্যুর পর নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন কোনোটিই আর ভাগ্যে জোটে না। এভাবে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবহেলার শিকার হওয়া কোনো ইতিবাচকতার স্বাক্ষর নয়। এমন দুর্দশাকর পরিস্থিতির অবসান হওয়া উচিত। এজন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডেরও দৃশ্যমান ভূমিকা প্রয়োজন। বস্তুত একটি নেতিবাচক চর্চা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। এক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য কাজ করতে হবে। বিদেশে কোনো নারী শ্রমিক আর যেন অবহেলার শিকার না হন, এজন্য অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো নারী শ্রমিক বিদেশে মৃত্যুবরণ করলে তার মরদেহ দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া কীভাবে সহজ করা যায়, সেদিকেই এখন দৃষ্টিপাত করা জরুরি।

সর্বশেষ - অপরাধ

আপনার জন্য নির্বাচিত

রাজবাড়ীর পাংশায় কৃষি যন্ত্র থ্রিসার ও রিপার বিতরণ

খাগড়াছড়িতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্টিত।

ভয়াবহ বন্যা: পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা জারি, নিহত বেড়ে ৯৩৭

মধুপুরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শরীয়তপুরে নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুল আলমের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

বাংলাদেশর ধর্মীয় সম্প্রীতি কেউ বিনষ্ট করতে পারবে না- মানিকগঞ্জে পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়

কলমাকান্দায় মাটির নিচে চাপা পড়ে এক শিশুর মৃত্যু

চট্টগ্রামে একদিকে মশাল মিছিল, অন্যদিকে আনন্দ মিছিল

সদ্য বিয়ে হলেও সন্তান নেওয়ার কথা ভাবা ছিল ৬ বছর আগেই!

২৮ অক্টোবর শাপলা চত্বরে সমাবেশের ডাক দিয়েছে জামায়াত