মোঃ আলফাত হাসান শ্যামনগর, সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ৫ নং কৈখালী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় নৈকাটি ৮ নং ওয়ার্ডের কালিন্দী নদীর বেড়িবাঁধের রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে এক কিলোমিটার জুড়ে বালু ফেলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন না হচ্ছে ভাঙ্গনরত বৈঁরিবাধের কাজ না সরানো হচ্ছে অল্পকরে ফেলে রাখা বালু। স্থানীয়দের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। দেখার কেউ নেই। দীর্ঘদিন ধরে যারা জিও বস্তা ভরে কাজের জন্য চিকন বেড়িবাঁধের রাস্তায় বালু ফেলে রেখেছে তাদের মেলছে না দেখা,দীর্ঘ দিনের এই সমস্যাটি কার কাছে জানাবে সাধারণ মানুষ জানে না কেউ। ইউপি চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্য ও পাউবো অফিস কেউ খোঁজ রাখে না কাজের।
তবে স্থানীয় বসবাসকারী অনেকেই করছেন নানামুখী মন্তব্য,এবং আমদের স্বাধীন নিউজ এর অনুসন্ধানে-এর ক্যামেরার সামনে অনেকে নানারকম কুচক্রী মহলের ভয়ভীতি কথা বলে কথা বলতেই শিকার হননি, তবে মনে বল বুকে সাহস রেখে কথা বলে কয়েকজন যুবক,বয়স্ক মানুষ ও স্থানীয় ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলহাজ্ব আজগর আলী এবং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহিম তাহারা জানান ৮ নং ওয়ার্ডের বৈড়িবাধের এই বেহাল দশা এবং ইয়াসের সময় প্লাবিত হওয়ার কারণে তবে ইয়াসের তান্ডব চলাকালীন সময়ে স্থানীয় এলাকার সবধরনের মানুষ সেচ্ছাশ্রম দিয়ে কাজ করে এবং ওপরে রিং বাধের মত দিয়ে রক্ষা পায়, তার পর হতে পাউবো বা সরকারি বেসরকারি কোনো কাজ হয়নি,তবে পরবর্তীতে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের এবং জাইকার কোম্পানির মাধ্যমে পাউবো-র কাজের বাজেট হয় কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ঝুঁকিপূর্ণ বেঁরিবাঁধের এখন ও পর্যন্ত কোনোরকম মাটির কাজ হয়নি,এছাড়া যে কাজ হয়েছে সেগুলা জি ও বস্তার ভিতরে অল্পসল্প করে বালি ভরে ফেলে রাখে নদীর পাশে এক উচু স্থানে যাহা গত ৫-৬ মাসের মত ধরে, নতুন করে ওই বস্তা কাজে লাগালে টেঁকসই ও মজবুত হবেনা, স্থানীয়রা আরো জানান যে এই বৈঁড়িবাধে এখন স্বভাবিক বড় জোয়ারে পানি উপচে লোকালয়ে আসে আবার যদি বড় ধরনের দুর্যোগ আসে তাহলে নিশ্চিত প্লাবিত হবে এই এলাকা যাহা রক্ষা করা অসম্ভব,স্থানীয়রা দাবী করে প্রতিবেদককে বলেন আমরা ত্রাণ চাইনা টেকসই বেঁরিবাঁধ চাই আমাদের বেঁরিবাঁধের কাজটা দ্রুততম সময়ে সম্পূর্ন চাই,, এবিষয়ে দায়িত্বরত কালীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন এস ও তন্ময় হালদারের মুঠোফোনে জানতে চাইলে বলেন ওইখানের কাজ টি যেহেতু ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের এবং জাইকার অধীনে ঠিকাদারীর মাধ্যমে কাজ চলমান তবে সত্যতা শিকার করে বলেন ৮৭ মিটার কাজটি যে ঠিকাদার করছিল সে কোনোরকম নয় ছয় করে জি ও বস্তা ভরে বহুদিন ধরে ফেলে রেখে চলে যায় এবং আমাদের সাথে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করে না,সেক্ষেত্রে আমরা ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় এবং জাইকাকে চিঠি দিয়েছি এবং দ্রুত ঠিকাদারকে কাজের তাগিদ দেওয়া হয়েছে আমি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে জানিয়েছি আপাতত আমার কিছু করার নেই, বলে ফোন কেটে দেন।
সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কার? কে কার জন্য কাজ করে প্রশ্ন সচেতন মহলের। এলাকায় নির্বাচনের জোয়ার লাগায় উন্নয়নের কথা বলছে প্রার্থীরা। অথচ সামান্য রাস্তার বালু সরানোর জন্যে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না, ঝুঁকিপূর্ণ বেঁরিবাঁধের হচ্ছেনা কোনোরকম কাজ,এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। আর কত দিন ভোগান্তির শিকার হতে হবে এলাকা বাসির?