
দিপু আহসান, লালমনিরহাটঃ
২০১৩ সালের আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পাটগ্রাম পৌর শাখার সাবেক প্রচার সম্পাদক নিহত নাসিরের পরিবারের জন্য ঈদুল ফিতরে শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই শুভেচ্ছা উপহার নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত নিজ দলের কর্মীদের ভেতর চলছে যত জল্পনা-কল্পনা।
প্রত্যক্ষ সুত্রে জানা যায়, ছাত্রদলের জেলা নেতৃবৃন্দদের সময় সল্পতার কারণে তারেক রহমানের পাঠানো উপহার জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বি (বিজয়) বাসে করে পার্সেল পাঠিয়ে দেন জেলা থেকে উপজেলায়। নিহত নাসিরের বাসা পাটগ্রাম পৌর এলাকার আওতাধীন হওয়ায় পার্সেল গ্রহণ করার কথা ছিল পাটগ্রাম পৌর ছাত্রদল দায়িত্বশীলের। কিন্তু সেখানে তার বিপরীতে পার্সেল গ্রহণ করেন পাটগ্রাম উপজেলা শাখা ছাত্রদলের ১নং সদস্য -সজীব। সজীবের হাত থেকে পার্সেল নিজ আয়ত্তে নিয়ে নেন ছাত্রদলের উপজেলা আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সনেট।
অতঃপর সেই পার্সেল নিহত নাসিরের পরিবারের কাছে পৌঁছালে দেখা যায় পার্সেল থেকে বরাদ্দকৃত উপহারের টাকা থেকে টাকা মিসিং! পরে বিষয়টি জানাজানি হলে নিজ দলের কর্মীদের ভেতর শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। ছাত্রদলের উপজেলা আহবায়ক মেহেদী হাসান সনেটের এমন কার্যপ্রণালীতে অতিষ্ঠ হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি করে অনেককেই ক্ষোপ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
বিষয়টি নিজ দলে প্রভাব ফেলতে পারে ভেবে টালবাহানা করে অন্তীম মূহুর্তে ধামাচাপা দেন মেহেদী হাসান সনেট।
নিহত নাসিরের পরিবারের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ছাত্রদলের জেলা দায়িত্বশীলরা ঈদ উপহারের টাকার যে অংক জানিয়েছিলেন তার সঠিক অংক তারা পাননি। তাদেরকে যে প্যাকেট টি দেয়া হয়েছিলো সেটির ভেতরে মাত্র ২হাজার টাকা থাকলেও পার্সেলের প্যাকেট টিও ওভার পিন মারা ছিলো বলে জানা যায়।
জেলা ছাত্রদলের স্টাডিং কমিটির নেতাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বিষয়টি নিয়ে পাটগ্রাম পৌর বিএনপি ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মোট দুই নেতা এবং জেলা ছাত্রদলের একজন বিশেষ প্রভাবশালী নেতা বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতেছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন সমাধান দিতে পারেনি জেলা ছাত্রদল। তাই এই বিষয়টি নিয়ে কর্মীদের মধ্যে আবারও বাজছে দামামা।