
স্বাধীন নিউজ ডেস্ক!
অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘুরল মেট্রোরেলের চাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারঁওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী মেট্রোরেল।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১.৫০ মিনিটের দিকে দিয়াবাড়ির উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মেট্রোরেলটি যাত্রা শুরু করে।
মেট্রোরেল যাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন শেখ রেহানা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হিসেবে আছেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা শিক্ষক, ইমাম, অন্যান্য ধর্মযাজক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, পোশাক শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, দোকানি/বাদাম বিক্রেতা/সবজি বিক্রেতা, মেট্রোরেলের শ্রমিক, প্রতিরক্ষা ও আইনশৃঙ্খলাকারী বাহিনী, গণমাধ্যমকর্মী, কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী, একজন দৃষ্টি/বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
এর আগে সবুজ পাতাকা নেড়ে মেট্রোরেলের যাত্রার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সংরক্ষিত কোচের দরজায় ফিতা কেটে ট্রেনে ওঠেন তিনি। তার আগে মেট্রোরেলের উত্তরা উত্তর স্টেশনের কনকোর্স লেভেলের টিকিট অফিস মেশিন (টিওএম) থেকে ৫০০ টাকা পরিশোধ করে তিনি এই পাস নেন। একইসঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও একটি পাস নেন। প্রধানমন্ত্রী মোট এক হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
বুধবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলক উন্মোচন করে মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন।
এর আগে বেলা ১১টায় দিয়াবাড়ি পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মেট্রোরেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ দ্রুত গতির রেলযুগে প্রবেশ করলো। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলবে মেট্রোরেল।”
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “মেট্রোরেল বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রার মুকুটে আরেকটি পালক। আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের মুকুটে আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম।”