
শরিয়তপুর নড়িয়া থেকে
এবি এম জিয়াউল হক টিটু
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সফল সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা একেএম এনামুল হক শামীম এমপি শরিয়তপুর ২ মহোদয়ের হাত ধরে নড়িয়া উপজেলার উন্নয়ন ৷ নির্বাচনের ইস্তেহারে প্রথমে শপথ নিয়েছিলেন _
১) পদ্মা নদীর ভাঙ্গন কবলিত নড়িয়া উপজেলাকে রক্ষা করা ও কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ সহ ভাঙ্গন কবলিত স্থানে বিনোদন স্পট জয় বাংলা এভিনিউ প্রতিষ্ঠা।
২) নড়িয়া উপজেলায় নির্ধারিত ১০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ থেকে ২০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা যাতে মানুষ বিদ্যুৎতে হয়রানির শিকার না হোন।
৩) সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে দুর্গম চর অঞ্চল চরআত্রা, নওপাড়া, কাচিকাটা ও কুন্ডেরচরে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা।
৪) নড়িয়া উপজেলা হেডকোয়ার্টারে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হাসপাতাল অনুমোদন।
৫) স্বপ্নের পদ্মা সেতু হতে শরীয়তপুর হয়ে আলুর বাজার ফেরিঘাট পর্যন্ত ফোরলেন রাস্তা অনুমোদন ও দ্রুত কাজের ব্যবস্থা করা যেখানে এখনো কাজ চলমান।
৬) নড়িয়া উপজেলায় ৭০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১০ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৫ কলেজের নতুন ভবন নির্মাণ। ৬০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, ১১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনার নির্মাণ, ৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়াস ব্লক নির্মাণ ও প্রায় ১০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামতের ব্যবস্থা ।
৭) নড়িয়া উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রশস্তকরণ, আধুনিকায়ন ও পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা।
৮) রাজনগর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
৯) চরআত্রা আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তরকরন।
১০) আবেদনকৃত সকল স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোকে এমপিও ভুক্তির ব্যবস্থা।
১১) নড়িয়া সরকারি কলেজের শূন্য পদ পূরণ ও প্রয়োজনীয় নতুন পদ সৃষ্টি।
১২) ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বিশেষ বরাদ্দ প্রদান।
১৩) করোনা কালীন সময়ে প্রায় ৪৭ হাজার পরিবারকে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বেগম আশরাফুন্নেসা ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য, খাদ্য -বস্ত্র, মাস্ক ইত্যাদি সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান। ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার এই শ্লোগানে সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান।
১৪) নড়িয়া উপজেলার সাধারণ জনগণের জন্য কয়েক হাজার গভীর নলকূপ নলকূপ স্থাপন।
১৫) প্রায় ৬০০০ পরিবারকে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ সহযোগিতা প্রদান। ৫০০ টি দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা ।
১৬) মেঘনা সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই ও যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ।
১৭) শরীয়তপুর জেলার সাথে রেললাইন সংযোগ পরিকল্পনা গ্রহণ।
১৮) শরীয়তপুর জেলায় শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ।
১৯) ভাষা সৈনিক ডাঃ গোলাম মাওলা উড়াল সেতু ও ঘড়িষার-চরভাগা সংযোগ সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ।
২০) নড়িয়া উপজেলায় কয়েকশ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দের ব্যবস্থা ও কয়েক হাজার কোরআন শরীফ বিতরণ।
২১) নড়িয়া উপজেলার সবকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন।
২২) ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় কীর্তিনাশা নদীর তীর সংস্কার ও ৭১০ কোটি টাকা ব্যয়ে সুরেশ্বর-তারাবুনিয়া নদীর তীর রক্ষা প্রকল্প গ্রহণ।
২৩) নড়িয়া উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থায়ী কার্যালয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ।
২৪) নড়িয়া বাজার, ঘড়িসার বাজার, ভোজেশ্বর বাজার এইরূপ প্রধান প্রধান বাজারের অভ্যন্তরীণ রাস্তা সংস্কার ও আধুনিকায়নের ব্যবস্থা।
২৫) নড়িয়া পৌরসভা সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সোডিয়াম বাতি স্থাপন।
২৬) নড়িয়া উপজেলায় কয়েক হাজার সোলার ও ল্যাম্পপোস্ট বসানো।
২৭) ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উন্নয়নের জন্য প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন চাল/গম ও প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার টি আর, জি আর ও কাবিখা বাবদ বরাদ্দের ব্যবস্থা।
২৮) অসুস্থ ও অসচ্ছল নেতাকর্মীদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ও মাননীয় উপমন্ত্রী মহোদয়ের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বিতরণ ।
একজন মাননীয় সংসদ সদস্য তার সরকারের এক মেয়াদের কয়েক বছরের মধ্যে যতটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছেন তা যথেষ্ট বলে মনে করেন নড়িয়া উপজেলার মেহনতী মানুষ । এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং বাকী কাজ গুলো হয়ে যাবে বলে আশাবাদী মাননীয় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামিম এমপি।