
স্বাধীন নিউজ ডেস্ক!
খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমিয়ে কেটেছে রাত। তৃপ্তিও হয়েছে বেশ! আনুষঙ্গিক সব কাজ সেরে রওনা হলেন অফিসের পথে।
অফিসের শুরুতে কাজের কোনো ব্যাঘাত না হলেও, খানিকটা সময় যেতে না যেতেই ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে।
ব্যস, কাজের বাজল ১২টা! এমনটাই রোজকার ঘটনা অনেকের জন্যই।
বেশিদিন এই রকম চলতে থাকলে তখন আর ব্যাপারটা স্বাভাবিক থাকবে না। যদি সত্যিই আপনার সঙ্গে এমনটা হয়, তাহলে সাবধান হোন। এই লক্ষণ ইঙ্গিত দেয় যে আপনার শরীরে মারণ রোগ বাসা বাঁধছে।
সম্প্রতি আমেরিকার পেন স্টেট কলেজ অফ মেডিসিনের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, দিনে অত্যাধিক ঘুম পাওয়ার অর্থ, শরীরে দু’টি রোগ বাসা বাঁধার আগাম পূর্বাভাস।
ওবিসিটি এবং ডায়াবেটিস। সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত ডিপ্রেশন থেকেও এমনটা হতে পারে। পরে এটাই ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে।
যদি রাতে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরও সকালে উঠে জলখাবার খেয়েই ফের ঘুম পায় তাহলে এটাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় এক্সেসিভ ডেটাইম স্লিপিনেস বা EDS।
কলেজের অধ্যাপক জুলিও ফার্নান্দেজ মেনডোসা জানাচ্ছেন, যদি এমনটা হয় তা হলে দেরি না করে ওজন কমানোর দিকে নজর দেয়া উচিত।
সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, যদি ওজন তেমন বেশি না হয়, তাহলে চিকিত্সকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
আমাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ধারণা, রাতে ঠিকভাবে ঘুম না হলে কিংবা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলে এই সমস্যা হয়।
এমনটা হলেও সব সময় একই অবস্থা চলতে থাকলে তা মোটেও ভালো লক্ষণ হয় না। তখন বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার।
এই বিষয়ে চিকিত্সকরা আরো জানান, যাদের ওজন বেশি বা ওবিসিটির পর্যায় পৌঁছে গেছেন, তাদের ঘাড়ের পেছনে অতিরিক্ত মেদ জমার ফলে উইন্ড পাইপে শোয়ার সময় চাপ পড়ে।
এতে রাতে বহুবারই তাদের ঘুম ভেঙে যায়। তার সঙ্গে শরীরে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণও বাড়তে থাকে। তাই দিনের বেলায়ও ভীষণ ঘুম পেতে পারে। তার সঙ্গে শরীরেও নানা সমস্যা দেখা দেয়।
তেমনই ডিপ্রেশনে ভোগা কোনো ব্যক্তিও ঠিক করে ঘুমোতে পারেন না। কারণ, একটা চিন্তা নিয়ে শোয়ার ফলে ব্রেন সজাগ থাকে। ঘুম পেতেও বেশ দেরি হয়। এই অনিদ্রা থেকেই দেখা দেয় নানা সমস্যা।
তাই আপনার যদি এই সমস্যা থেকে থাকে, তবে আজই সতর্ক হোন। চিকিত্সকের পরামর্শে সঠিক চিকিত্সা গ্রহণ করুন ও সুস্থ থাকুন।