শেহেরীন আমিন সুপ্তি
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মানব কঙ্কাল কেনা-বেচা অবৈধ। তবে বাস্তব জীবনে এই আইনের প্রয়োগ দেখা যায় খুব কমই। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অহরহ চলে কঙ্কালের ব্যবসা।
ছবি- সংগৃহীত
বাচ্চাকালে গল্প শুনতাম অমুক ডাক্তার কঙ্কাল নিয়ে ঘুমায়, কঙ্কালের খুলিতে নাকি মুড়িও খায়। ডাক্তারি পড়াশোনার জন্য অপরিহার্য কঙ্কালের ব্যবহার নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে এমন জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। দৈনন্দিন জীবনে সাধারণ মানুষের কাছে ভয়ের বিষয় হলেও মানব দেহের সাথে ডাক্তারদের ভালোভাবে পরিচিত হতে হলে কঙ্কাল নিয়ে ভালো জানাশোনার বিকল্প কিন্তু নেই। প্রতি বছর এদেশে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয় ১০-১১ হাজার শিক্ষার্থী। এত সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার জন্য কঙ্কাল কিভাবে জোগাড় হয় তা নিয়ে আছে নানা রহস্য।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মানব কঙ্কাল কেনা-বেচা অবৈধ। তবে বাস্তব জীবনে এই আইনের প্রয়োগ দেখা যায় খুব কমই। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই দেশের বিভিন্ন স্থানে অহরহ চলে কঙ্কালের ব্যবসা। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের কঙ্কাল সংগ্রহের প্রক্রিয়ার দিকে দেখলে এই চিত্র আরও স্পষ্ট হয়ে উঠে।
ময়মনসিংহ মেডিকেলের চতুর্থবর্ষের শিক্ষার্থী নূযহাত জাহান মীম বলেন, ‘মেডিকেলের প্রথম বর্ষে এনাটমি পড়ার জন্য আমাদের কঙ্কালের দরকার হয়। বেশীরভাগ শিক্ষার্থীই মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার পর কোনো সিনিয়র শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কঙ্কাল কিনে নেন। সাধারণত দ্বিতীয় বর্ষের পর পড়ার জন্য আর কঙ্কালের দরকার হয়না। সিনিয়র শিক্ষার্থীদের পড়া শেষ হয়ে গেলে তারা সেটি নতুন শিক্ষার্থীর কাছে বিক্রি করে দেন। সাবধানতার সাথে ব্যবহার করলে এক সেট কঙ্কাল অনেক বছর ধরে পড়া যায়।’