
স্বাধীন নিউজ ডেস্ক!
এলেন, দেখলেন, জয় করলেন- ঠিক এমনটাই হয়েছে কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন জায়ান্ট লিওনেল মেসির যাত্রা।
সতীর্থরা যেন ভাবছিলেন সামনে মেসি আছে ভরসা, তাই তুলনামূলক নবীন দলটাই সবাইকে পেছনে ফেলে উঁচিয়ে ধরেছে বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি।
জাঁকজমক কোনো হোটেলে নয়, এবার মেসিরা বিশ্বকাপের এক মাস কাটিয়েছেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মে। একজন শিক্ষার্থী যেমন সুবিধা পায়, তেমন সুবিধাই নিয়েছেন মেসিরা।
স্কোয়াডের সদস্যদের বাড়ির আবহ দিতেই এমন খোলামেলা জায়গা বেছে নিয়েছিল দলটি। অবশ্য আর্জেন্টিনার পাশাপাশি স্পেন দলও ডর্মে ছিল।
কাতার ইউনিভার্সিটি মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, লিওনেল মেসি যে কক্ষে ছিলেন তার সম্মানে সেই কক্ষ একটি মিনি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে। অধিনায়কের কক্ষ ছিল বি২০১। এই রুমটাই হতে যাচ্ছে জাদুঘর।
বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ জানায়, ওই রুমে এখন থেকে আর কেউ বসবাস করতে পারবেন না। কেবল দর্শকদের দেখার জন্য উন্মুক্ত করা থাকবে।
মেসির ব্যবহার করা সকল জিনিসপত্র সেখানে থাকবে। শিক্ষার্থীরা যাতে উপলব্ধি করতে পারে, এই অসামান্য অর্জনে মেসি কতটা নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন।
মেসির নেতৃত্বাধীন দলটি বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ পাঁচতারা হোটেলগুলোর পরিবর্তে বিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকতে বেছে নিয়েছে যাতে তারা গরুর মাংসের বারবিকিউ খাওয়া চালিয়ে যেতে পারে।
এই কারণেই আর্জেন্টিনা থেকে গরুর মাংস কাতারে পাঠানো হয়েছিল। দলের সাথে একজন শেফও ছিলেন।