
বাঁশ উপাখ্যান…
অতি প্রাচীনকাল থেকে বাঁশেরব্যবহার খুবই সংবেদনশীল বিষয় হিসেবে পরিণতি পেয়েছে।চিরহরিৎ এই গাছের রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার।বাংলাদেশে বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চলে মুলি, তল্লা, বরাক, ভুদুম, বাইজ্জা, বেথুয়া, ফারুয়া, ওরা, লতা মিরতিঙ্গাসহ দেশি প্রায় ২৫ প্রজাতির বাঁশ রয়েছে।ফিলিপাইনের লোকগল্পে বলা হয়,নারী পুরুষের জন্ম হয়েছে নাকি বাঁশের খোলের মধ্যে।ভুদুম প্রজাতির যে বাঁশ, যার ব্যস হয় প্রায় ২ ফুট,লম্বাতে প্রায় ১০০/১৩০ ফিট।এ সাইজ বিবেচনায় ঐ লোকগল্প অমুলক না ও হতে পারে।আবার চীনারা মনে করে,বাঁশ শুভ শক্তির প্রতীক।তাই বাগানে বাঁশগাছ লাগানো তাদের ঐতিহ্যের অংশ।অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করতে মাটিতে বা কাঁচের পাত্রে তাদের বাঁশ চাইই চাই।কথা আবার সেটি না,এই বাঁশের উপরে নির্ভর করে পার্বত্য এলাকার অনেক মানুষের রুটিরুজি। আমি যাকে শিল্প দেখি,ঐ মানুষটা ভাবে এই বাঁশের ভাঁজ তার কয়দিনের জীবন চলার অনুষংগ।এই বাঁশকে ঘিরেই পার্বত্য এলাকার বনবিভাগে যুক্ত হয়েছে পাল্প উড ডিভিশন।সেটি তোলা থাক, অন্য আরেক দিন….
লেখকঃ- সুযোগ্য সফল কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,আমাদের প্রিয় ইউএনও মুনতাসির জাহান মহোদয়।