নিজস্ব প্রতিবেদক |
বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে এক অধিবেশনে বাণিজ্যমন্ত্রীসহ অন্যরা
রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের চিত্র বদলে গেছে। এখন পোশাক কারখানাগুলোর শুধুমাত্র নিরাপত্তাই নয় বরং সেগুলো আরও গতিশীল, আধুনিক, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ‘থার্ড এডিশন অব সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের’ সমাপনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন বক্তৃতারা।
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহযোগিতায় এই সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই)। এতে ৫০ জনের বেশি বক্তা এবং ২০ দেশের সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা প্রদর্শনকারী কোম্পানি অংশগ্রহণ করে।
সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের শিল্প-কলকারখানা এখন বিশ্বের রোল মডেল। এর পেছনে রানা প্লাজার দুর্ঘটনা ছিল। কারণ, দুর্ঘটনার পরপরই প্রত্যেকটা কল-কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা, পরিবেশ উন্নত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পোশাক কারখানাগুলোর এখন আরও গতিশীল, আধুনিক, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠছে। এ শিল্প, সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন হয়েছে তা বজায় রাখতে সবাইকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে।
আরএমজি সেক্টরে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে। মানসম্মত পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানি করতে পারছে বাংলাদেশ। এতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিয়েন বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে নিরাপত্তা ও টেকসই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মুস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বেগবান করতে এ বছরে আমরা সাসটেইনেবল অ্যাপারেল ফোরামের সম্মেলনে সবাইকে একই ছাদের নিচে এনেছি। এই প্ল্যাটফর্মটি একটি উচ্চপর্যায়ের আলোচনা প্লাটফর্ম। যেখানে টেকসই নিয়ে আমাদের লক্ষ্যগুলো কীভাবে অর্থ পূর্ণভাবে ও বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়ায় অর্জন করতে পারে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আজকের দিনে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোর শুধুমাত্র নিরাপত্তাই নয়, বরং সেগুলো আরও গতিশীল আধুনিক জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ এখন সর্বোচ্চ সংখ্যক সবুজ কারখানার আবাসস্থল। আমরা বিশ্বাস করি যে টেকসই উন্নয়ন মানে ম্যারাথন। আমরা শিল্প সামাজিক ও পরিবেশগত ক্ষেত্রে যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছি, তা বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি আমরা ব্যবসায় সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর নজর দিয়েছি।
সম্মেলনে বিখ্যাত রিসাইক্লিং এবং রিনিউয়েবল এনার্জি কোম্পানিগুলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সাসটেইনেবল ও গ্রিন প্রযুক্তি এবং পণ্য ও সমাধান প্রদর্শন করেন। ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ড দূতাবাস তৃতীয় সাসটেইনেবিলিটি অ্যাপারেল ফোরামের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে সহযোগিতা করে।