শরনখোলা উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের উপর হামলা।

শরনখোলা থানা প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পশ্চিম বানিয়াখালি ৩৭ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মালেক হাওলাদার ও তার সহধর্মিনীর উপর হামলা করেন ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিক গাজী। এই হামলার প্রতিবাদে শরনখোলা প্রেসক্লাবের সামনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেন।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা বলেন একজন শিক্ষকের উপর হামলা করা মানে জাতির মেরুদণ্ডের উপর হামলা করা। তারা শিক্ষকের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন ভবিষ্যতে কেউ যেন কোন শিক্ষকের উপর এ ধরনের হামলা না করতে পারে।তারা এই ধরনের ঘৃণিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান। হামলার শিকার সহকারী শিক্ষক মোঃ মালেক হলাদার জানান আমি আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছি। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিক গাজীর বাড়ির সামনে হওয়ায় তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বরাদ্দ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।তার এমন দুর্নীতির কাজে আমি বাধা দেই। আমি বাধা দেওয়ায় ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিক গাজী ও তার সহযোগীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হন। এই কারণে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে থাকেন। একপর্যায়ে ইউপি সদস্যের সহযোগী মোঃ বাবুল হাওলাদার আমার বিরুদ্ধে সরকারি উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন।গত ২৩/০৭/২০২২ তারিখ শনিবার আমার সহধর্মিনী এবং আমার সন্তানকে দেখে গালিগালাজ করতে থাকেন। গালিগালাজ এর একপর্যায়ে মারধর করেন।২৩/০৭/২০২২ তারিখ শনিবার সকাল ৯ টায় আমি স্কুলে গেলে আমাকে স্কুলের মধ্যে আমার উপর হামলা চালায়। আমার ছেলে নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ ফোন দিয়ে সাহায্য চাই। তখন শরনখোলা থানা থেকে পুলিশ সদস্য গিয়ে আমাদের উদ্ধার করেন। এই বিষয়ে ২নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিক গাজীর কাছে জানতে চাইলে বলেন এই অভিযোগ মিথ্যা।১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবুল হাওলাদারের বউয়ের সাথে সহকারী শিক্ষক মালেক হাওলাদারের বড় ছেলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় বাবুল হালদারের সাথে দ্বন্দ্ব। ২৩/০৭/২০২২তারিখ শনিবার স্কুলের সামনে এই পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি সৃষ্টি হয়।তখন আমি একজন ইউপি সদস্য হিসাবে মারামারি বন্ধ করতে গেলে উল্টা সহকারী শিক্ষক মোঃ মালেক হাওলাদার আমার উপর হামলা চালায়। আমার বিরুদ্ধে এই সকল অভিযোগ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। এই সম্পর্কে ২ নংখোন্তকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন তিনি বলেন অন্যায় ভাবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত ইউপি সদস্য সিদ্দিক গাজীর উপর হামলা চালায়।এই বিষয়ে শরনখোলা উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন পরিষদের সকল মেম্বার সহ শরনখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করি।এবং শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকরাম হোসেন কে জানাই। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এই ওয়েবসাইটের সকল লেখার দায়ভার লেখকের নিজের, স্বাধীন নিউজ কতৃপক্ষ প্রকাশিত লেখার দায়ভার বহন করে না।
এই বিভাগের আরও খবর
- Advertisment -

সর্বাধিক পঠিত

- Advertisment -