স্টাফ রিপোর্টার
এবি এম জিয়াউল হক টিটু
শরীয়তপুরে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বছরের পর বছর ভোগ করে আসছে ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি মো: মিজান ঢালী।
মিজানের সাথে একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে কথা শুনে বিয়ের দাবি নিয়ে তরুণী গতকাল রাতে মিজান ঢালীর বাড়িতে এসে উঠে। এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে গেলে মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন( মহি) গণমাধ্যম কর্মীদের উপর চড়াও হয় ও হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি মিলে ঐ তরুণীকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ঐ তরুণী।
গতকাল সোমবার (৯ অক্টোবর) রাতে শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের আমিন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সিড্যা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি মিজান ঢালী আমিন বাজার ঢালী বাড়ির আব্দুর রশিদ ঢালীর ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণী পার্শ্ববর্তী ছয়গাও ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান মুন্সির মেয়ে।
ভূক্তভোগী তরুণী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সাথে প্রায় ছয় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে ছাত্র লীগ নেতা মিজান ঢালীর সাথে। প্রেমের সম্পর্কে সূত্র ধরে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে বছরের পর বছর স্বামী স্ত্রীর মতো চলাফেরা করে আসছিলো ।
কিন্ত কিছু দিন আগে তরুণী জানতে পারে মিজানের সাথে একাধিক নারীর সম্পর্ক আছে। তাই তিনি মিজানকে বিয়ে করার উদ্দেশ্য ওর বাড়িতে এসে উঠে। এতেই ঘটে বিপত্তি। মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি মিলে তরুণী কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চড়থাপ্পড় মেরে টেনে-হিছড়ে বাড়ি হতে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে মিজান ও তার ভগ্নিপতি মহিউদ্দিন মহি সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয় এবং তাদের দেখবেন বলে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে গ্রাম পুলিশ সিরাজ পেদা ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণী তামান্না স্বাধীন নিউজকে বলেন, মিজান ও আমার প্রায় ছয় বছরের সম্পর্ক। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার সাথে বহুবার স্বামী স্ত্রীর মতো মেলামেশা করে। এখন হঠাৎ করে ও আমাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। তাই আমি কোন উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে ওর বাড়িতে এসে উঠি। এছাড়া আমার আর কোন পথ খোলা নেই। মিজান যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে মৃত্যু ছাড়া আমার কোন উপায় নেই।
গতকাল রাত থেকে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়, অভিযুক্ত ছাত্র লীগ নেতা মিজান ঢালী। ছাত্র লীগ সভাপতি মিজান ঢালীর মা লুৎফা বেগম স্বাধীন নিউজকে বলেন, ও আমার জন্মের সন্তান হলেও এখন আমি ওর পরিচয় দিতে চাই না। কারণ মিজান আমার মানসম্মান সকল কিছু মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল হাদী জিল্লু স্বাধীন নিউজকে বলেন, আমার জানামতে মিজানের সাথে এই তরুণী প্রায় ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এ সম্পর্কের জের ধরে তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো চলাফেরা করেছে, এ বিষয়টি এলাকার বেশির ভাগ মানুষের জানা। গতকাল রাতে মেয়েটি যখন ছেলের বাড়িতে আসে তখন মিজান কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে আমি উভয় পরিবারের সাথে আলোচনা করে বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।