Logo
বৃহস্পতিবার , ১৪ জুলাই ২০২২ | ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আঞ্চলিক খবর
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. ইতিহাস ও ঐতিহ্য
  8. উন্নয়ণ
  9. করোনা
  10. কৃষিবার্তা
  11. ক্যাম্পাস বার্তা
  12. খেলাধুলা
  13. খোলা কলাম
  14. গণমাধ্যম
  15. গল্প ও কবিতা

সিইউএফএল’র বর্জ্যে নিঃস্ব হচ্ছে স্থানীয়রা, উদাসীন কর্তৃপক্ষ

প্রতিবেদক
প্রকাশক
জুলাই ১৪, ২০২২ ১২:০৬ পূর্বাহ্ণ

রফিক তালুকদার, আনোয়ারা। 
বছরে কয়েকবার চট্টগ্রাম ইউরিয়া সারকারখানা (সিইউএফএল) থেকে  নিঃসরিত দুষিত বর্জ্যে কখনও মরছে অসংখ্য গবাদিপশু আবার কখনও মরছে লাখ লাখ টাকার মাছ, তা ছাড়া ফসলের ক্ষতিতো আছেই।
বছরে কয়েকবার এ ধরণের ঘটনা ঘটে চললেও কর্তৃপক্ষের যেন খেয়াল নেই সেদিকে। ফলে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে বিক্ষুব্ধ মনোভাব।
সর্বশেষ গত ১২ জুলাই(মঙ্গলবার) কারখানার দক্ষিণ পাশে গোবাদিয়া গ্রামের দুধকুমড়া বেড়িবাঁধের পূর্ব পাশে সিইউএফএলের বর্জ্যের পানি প্রবেশ করে ৬টি মৎস্য খামারে, যাতে মরে যায় অন্তত ১৫ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
বুধবার সকালে সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে জসিম উদ্দিন খানের ৮০ শতক জমিতে গড়ে তোলা মৎস্য খামারটিতে চিংড়ি, কোরাল, টেংরা, তেলাপিয়া, রুই, কাতলাসহ  বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য মাছ মরে পানির উপর ভাসছে। খামার মালিকের দাবী মতে প্রায় প্রায় ৭ লক্ষ টাকার মাছ মরে গেছে এখানে।
খোরশেদ আলমের ১২০ শতক জমিতে গড়ে তোলা মৎস্য খামারটিতেও একই কারণে মরে গেছে অন্তত ৩ লক্ষ টাকার মাছ।
এ ছাড়াও দুষিত বর্জ্যের পানির কারনে ছোট ছোট আরও ৪টি খামারে মরে যায় প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মাছ।
ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে বর্জ্যের পানি ছাড়ার আগে কর্তৃপক্ষ আশপাশের এলাকাসমূহে মাইকিং করে সতর্ক করে দিত, এবং লাল পতাকাও টাঙানো হতো,  কিন্তু এবার কোনো প্রকার মাইকিং করা হয়নি, টাঙ্গানো হয়নি পতাকাও, কোনরকম পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই বর্জ্যের পানি ছেড়ে দেয়ায় খামারীরা পানি আটকানোর কোনো আগাম ব্যবস্থা করতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম, এ, কাইয়ুম শাহ্ বলেন, এটা সিইউএফএলের নিত্যদিনের কাজ। তাদের এমন কাজে স্থানীয়রা সব সময় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমি বিষয়টি দেখবো।এই বিষয়ে স্হায়ী সুরাহা চাই। ক্ষতিগ্রস্হদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা না করলে জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করার কথাও জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে, সিইউএফএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) আখতারুজ্জামান জানান বর্জ্যের পানিতে কিছু মাছ মরার ঘটনা শুনেছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ - বাংলাদেশ