(মিরসরাই প্রতিনিধি)
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে প্রোজিরিয়া রোগে আক্রান্ত শিশু শাহাদাতের চিকিৎসা হচ্ছে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) শিশু বিভাগে। রোববার (১২ নভেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) শিশু বিভাগের অ্যান্ডোক্রাইনোলজি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিল্পপতি ।
১০ বছরেই বৃদ্ধ শিশু এমন শিরোনামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিনের নজরে আসলে তিনি তাৎক্ষণিক শিশু শাহাদাতকে দেখতে তার বাড়িতে ছুটে যান। শাহাদাতের আবদারে তাকে একটি বাইসাইকেল কিনে দেন। পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারেন শাহাদাতের চিকিৎসা সামর্থ্য ও মাথা গোচার ঠাইটুকুও নেই। শিশুটির চিকিৎসা, শিক্ষা, পুষ্টিকর খাবার ও তার পরিবারকে একটা ঘর দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিনে বলেন, প্রোজিরিয়া আক্রান্ত শিশু শাহাদাত এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শিশু বিভাগের এন্ডোক্রাইনোলজি ওয়ার্ডে ভর্তি আছে। আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) থেকে তার চিকিৎসা শুরু হবে। ঢাকার এক শিল্পপতি শিশু শাহাদাতের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চান না। মূলত উনি শাহাদাতের চিকিৎসার জন্য তার বাবা মাসহ ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের থাকার জন্য হাসপাতালের পাশে একটি ভাড়া বাসা ঠিক করে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের বসবাসের জন্য একটি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিই। উপজেলার মায়ানী ইউনিয়নে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।
শাহাদাতের বাবা মো. হানিফ বলেন, আমার ছেলেকে নিয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আছি। তাকে গতকাল রোববার (১২ নভেম্বর) ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়েছি। আজ সোমবার থেকে তার চিকিৎসা শুরু হবে। আমি সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের লেখালেখির কারণে আমার ছেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জন্মের চারমাস পর থেকে প্রোজিরিয়া রোগে আক্রান্ত হয় মিরসরাইয়ে শাহাদাত হোসেন। বয়স ১০ বছর হলেও তাকে দেখতে লাগে ৬০ বছরে বৃদ্ধের মতো। সে উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজগাঁও গ্রামের মো. হানিফ ও নাছিমা আক্তারের ছেলে। তিন সন্তানের মধ্যে সে সবার ছোট। সে মির্জাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।