মার্কিনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) ও ক্রিটিক্যাল থ্রেটস প্রজেক্ট (সিটিপি) জানিয়েছে, ইরান তাদের পারমাণবিক উপকরণ গোপনে সরিয়ে ফেলেছে। সেগুলো এমন স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে যেখানে তা ধ্বংস করা কঠিন হবে।
শনিবার (২১ জুন) আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
পর্যবেক্ষক সংস্থা দু’টি এক যৌথ মূল্যায়নে জানিয়েছে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরাইলি হামলার আশঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক উপকরণ নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, যাতে এগুলো ধ্বংস না হয়।
সংস্থা দু’টি জানিয়েছে, এর মাধ্যমে ইরান পশ্চিমাদের সামনে এমন একটি বার্তা দিতে চাইছে যে, সব পারমাণবিক উপকরণ ধ্বংস করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে দীর্ঘ, কঠিন এবং হয়তো ব্যর্থ এক অনুসন্ধানে নামতে হবে। এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলোকে আলোচনায় ফিরতে উৎসাহিত করাই ইরানের লক্ষ্য।
পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো বলছে, এটি এক ধরনের কূটনৈতিক চাপ তৈরির কৌশল, যাতে করে পশ্চিমা শক্তিগুলো যুদ্ধ নয়, আলোচনার পথ বেছে নেয়।
ইরান বরাবরই বলে আসছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। তবে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে।
এরই জেরে, গত ১৩ জুন ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে ইসরাইল বিমান হামলা শুরু করলে দুই দেশের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘাত শুরু হয়। ইসরাইলের হামলার জবাবে তেহরানও পাল্টা ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায়।
এদিকে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। অপরদিকে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্টস জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় ইরানে কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন এক হাজার ৩২০ জনের বেশি।