সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে গুড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা ব্যবহার করে ভূগর্ভস্থ কেন্দ্র কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। ব্য়বহার হয়েছে নন-নিউক্লিয়ার মিসাইল GBU-57 বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা। কিন্তু কী এই সাংঘাতিক অস্ত্র?
এয়ার স্ট্রাইকের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন, অন্তত ৫-৬টি বাঙ্কার ব্লাস্টার ব্যবহার করা হয়েছে। যার পুরো নাম GBU-57 ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর। আমেরিকার অস্ত্রভাণ্ডারে থাকা সবচেয়ে বড় ‘নন-নিউক্লিয়ার’ বোমা। মাটির নিচে থাকা লক্ষ্যবস্তু বা শক্ত বাঙ্কার ধ্বংসে এই সমরাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ইরানে এই প্রথম এই সমরাস্ত্র ব্যবহার করল আমেরিকা।
কী এর বিশেষত্ব?
GBU-57 ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর লম্বায় ২০.৫ ফুট।
ব্যাস ৩১.৫ ইঞ্চি।
ওজন ৩০ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ ১৩ হাজার ৬০০ কেজি।
পেটে থাকে ৫ হাজার ৩০০ পাউন্ড উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক।
বিস্ফোরণের পর কংক্রিটের চাদর ভেদ করতে পারে। প্রায় ৬০ মিটার বা ২০০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি করতে পারে।
মাটির নিচে থাকা ইস্পাতে তৈরি বাঙ্কারও ভেদ করতে পারে। তাই এটাকে বাঙ্কার ব্লাস্টার বলা হয়ে থাকে।
এই বোমা ছুড়তে ব্যবহার হয়েছে বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমারু বিমান। এই বিমানই একমাত্র ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা বইতে পারে।
রাডার এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।
প্রতিটি বিমান দু’টি করে বোমা বইতে সক্ষম।
প্রসঙ্গত, ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। হামলার পর মার্কিন ‘যোদ্ধা’দের শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘এখন শান্তির সময়।’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ইরানের আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় আমেরিকা নিশানা সেধে রেখেছে। ইরান যদি শান্তির পথে না ফেরে তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হবে। আমেরিকা এবার দ্রুততার সঙ্গে প্রাণঘাতী হামলা চালাবে। এদিকে ট্রাম্পের এই ‘সাহসী সিদ্ধান্তে’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। দাবি করেছেন, ইতিহাস আমেরিকার এই পদক্ষেপকে মনে রাখবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন