Swadhin News Logo
বুধবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরে ধসে পড়লো বিদ্যালয়ের মেঝে

প্রতিবেদক
Nirob
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫ ৮:২২ অপরাহ্ণ
৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরে ধসে পড়লো বিদ্যালয়ের মেঝে

বগুড়ার আদমদীঘিতে ক্লাস শুরুর আগেই পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়লো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের মেঝে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। এতে অল্পের জন্য বেঁচে যায় শিশু শিক্ষার্থীরা।

ঘটনার পর ওই কক্ষে পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। এতে ক্ষুব্ধ হন অভিভাবকরা। এজন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অসতর্কতা ও অবহেলাকে দায়ী করেছেন তারা। 

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের একটি পুকুরের ওপর বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ক্লাস শুরুর আগে শিশু শ্রেণিকক্ষে কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিল। হঠাৎ করে কক্ষের মেঝে ধসে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। এ সময় সেখানে থাকা শিশু শিক্ষার্থী হুমায়রা, জিসান ও অলকসহ পাঁচ জন পুকুরে পড়ে যায়। তবে তাদের বড় ধরনের কোনও ক্ষতি হয়নি। শিশুরা ভয়ে চিৎকার দিলে শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা সজল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম জানান, গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে খুবই উদাসীন। শিক্ষক, অভিভাবকদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই যেকোনো কাজ করেন। বিদ্যালয়ের জন্য কোনও বরাদ্দ এলে সে টাকা কোন খাতে ব্যবহার করেন, তা কাউকে বলেন না। তার উদাসীনতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকা করে বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ বলেন, ‘অনেকদিন আগে পুকুরের ওপর বিদ্যালয়ের কক্ষটি নির্মাণ করা হয়। কিছুদিন আগে উত্তর দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়। আমি যোগদানের পর থেকে কোনও বরাদ্দ না আসায় মেঝে সংস্কারের কাজ করা যায়নি।’

আদমদীঘি উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘শিশু শ্রেণির মেঝে ধসের খবর পেয়েই বিদ্যালয়ে যাই এবং ওই কক্ষে পাঠদান বন্ধের নির্দেশ দিই। এখানে শিক্ষকদের কারও কোনও অবহেলা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষের মেঝের এক কোণে দেবে পুকুরে পড়ে যায়। তবে কোনও শিক্ষার্থীর ক্ষতি হয়নি। এটি মেরামত না করা পর্যন্ত অন্য কক্ষে ক্লাস নেওয়া হবে। এছাড়া মেঝে ধসের ঘটনায় কারও অবহেলা কিংবা গাফিলতি থাকলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক