গাজীপুরে নেশার টাকা না দেওয়ায় বঁটি দিয়ে কুপিয়ে মামা আনিসুর রহমানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাগনে সৌরভের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে ভাগনে পলাতক রয়েছেন। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনিসুর রহমানের মৃত্যু হয়।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীপুর (উত্তরপাড়া) জয়বাংলা মোড় এলাকায় নিহতের ভগ্নিপতি রোকনুজ্জামানের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আনিসুর রহমান (২৩) গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার আলি নেওয়াজের ছেলে। ভাগিনা সৌরভ (১৮) ভবানীপুর (উত্তরপাড়া) এলাকার রোকনুজ্জামানের ছেলে।
নিহত আনিসুরের মামা আব্দুর রশীদ জানান, আনিস ও সৌরভ মামা-ভাগনে। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তারা প্রায়ই একসাথে বন্ধুর মতো চলাফেরা করতেন। তাদের মধ্যে কি নিয়ে ঝগড়া হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তিনি শুনেছেন সৌরভের ভাবি বঁটি দিয়ে রান্নার কাজে তরকারি কাটছিলেন। এ সময় সৌরভ ভাবির কাছ থেকে বঁটি নিয়ে ঘরে শুয়ে থাকা মামা আনিসুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। এলাকাবাসী তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে ওই হাসপাতাল থেকে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাধীন রাখে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে আনিসুর রহমানের মৃত্যু হয়।
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রব জানান, নেশা করার জন্য সৌরভ তার মামা আনিসুর রহমানের কাছে টাকা চায়। মামা টাকা দেবে না বললে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে মামা ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়ে। হঠাৎ করে সৌরভ তার ভাবির কাছ থেকে বঁটি নিয়ে ঘরে শুয়ে থাকা মামাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা আহত আনিসকে হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।