ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অবরোধকারীরা মাঝপথে ট্রেন আটকে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো যাত্রী। বিশেষ করে, ঢাকাগামী নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা ভোগান্তিতে পড়েছেন বেশি।
রিপা ও কামরুল দম্পতি ২১ দিন বয়সী সন্তানকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকায়। উঠেছেন চুয়াডাঙ্গার দর্শনা স্টেশন থেকে। কিন্তু ভাঙ্গায় স্থানীয়দের অবরোধের মুখে আটকে পড়েছে তাদের ট্রেনটি। রবিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বসে আছেন, অপেক্ষায় রয়েছেন কখন ছাড়বে ট্রেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদি ইউনিয়নের হামিরদি রেলক্রসিংয়ে আটকে পড়া ট্রেনটিতে গিয়ে এই দম্পতির দেখা মিলে। রাতে দিকে খুলনার দর্শনা থেকে নকশীকাঁথা নামের এই ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে।
সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসে ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদি ও আলগী নামে দুটি ইউনিয়ন পুনর্বহালের দাবিতে ভাঙ্গায় চলমান অবরোধের মুখে সকাল ৮টায় আটকে পড়ে ট্রেনটি। এদিন ফরিদপুরের দুটি মহাসড়ক ও রেলপথের অন্তত ১০টি এলাকায় অবরোধ করছেন বিক্ষুব্ধরা।
দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে অনেকে ফিরে যান। তবে দূরের যাত্রীরা পড়েছেন অসহনীয় ভোগান্তিতে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্থানীয়রা সড়কে গাছের গুঁড়ি, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
এদিকে, অবরোধের মুখে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান আকন্দ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল ও ঢাকা-ফরিদপুর-রাজবাড়ী-দর্শনা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কার্যত দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বিচ্ছিন্ন রয়েছে।’
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় এবং যান চলাচলে স্বাভাবিক করতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে এবং আমরা বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। দ্রুত আমরা সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করার কাজ শুরু করবো।’