সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবার শিশুদের ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে লিথুয়ানিয়া। রাশিয়া ও বেলারুশের মতো সামরিকভাবে শক্তিশালী প্রতিবেশীদের মোকাবেলায় এ উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আওতায় ১০ বছরের শিশু থেকে শুরু করে কিশোর-তরুণদের এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। খবর রয়টার্সের।
রুশ সীমান্তের কাছে শিশুদের ড্রোনের মতো সমরাস্ত্র পরিচালনায় পারদর্শী করে তুলতে প্রশিক্ষণকেন্দ্র চালু করেছে লিথুয়ানিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ভার্চুয়াল ড্রোন ফ্লাইট শেখানো হচ্ছে শিশু ও কিশোরদের। রাশিয়া ও বেলারুশের মতো প্রবল সামরিক সক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিবেশীদের সঙ্গে সীমান্ত বিভাজনের প্রেক্ষিতে প্রথমবারের মতো এমন অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার।
ফার্স্ট পার্সন ভিউ (এফপিভি), কোয়াডকপ্টার, সিঙ্গেল-উইং ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ চলছে শিশুদের। উন্নত জীবনযাপন ও প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণে পারদর্শী হতে ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দক্ষ করে তুলতে চায় লিথুয়ানিয়া।
দেশটির উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী টোমাস গডলিয়াউস্কাস বলেন, “রাশিয়া এবং বেলারুশের মতো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে জীবনযাপনের বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখছি আমরা। মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা খাতে। সে উদ্দেশ্যেই সামরিক সক্ষমতা তৈরিতে এ ধরনের পদক্ষেপ লিথুয়ানিয়ার।”
এদিকে, দেশটির নন-ফরমাল এডুকেশন এজেন্সির (লাইনেশা) পরিচালক ভালদাস ইয়ানকাউস্কাস বলেন, “বর্তমানে আমাদের তিনটি প্রশিক্ষণকেন্দ্র রয়েছে। ২০২৮ সালের মধ্যে লিথুয়ানিয়ায় এরকম ৯টি কেন্দ্র তৈরির লক্ষ্য রয়েছে আমাদের। একেকটি কেন্দ্রে প্রতিবছর অন্তত ৩ থেকে ৪ শত শিশু এবং তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, মস্কোর সঙ্গে সীমান্তবর্তী রাষ্ট্রগুলোর বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার জেরে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে লিথুয়ানিয়া। যেকোনো অতর্কিত পরিস্থিতি সামাল দিতে পোল্যান্ডসহ ইউরোপের দেশগুলোকে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে ন্যাটো।
/এসআইএন