
হামলায় এবার কৌশলগত পরিবর্তন ইরানের, আরও দিশেহারা ইসরাইল
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, আইআরজিসি উত্তর থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হামলা চালানোর জন্য আত্মঘাতী ড্রোন সহ কঠিন এবং তরল জ্বালানিযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রের সংমিশ্রণ ব্যবহার করেছে। আগের অভিযানগুলি মূলত তেল আবিব এবং হাইফাকে কেন্দ্র করে পরিচালনা করা হয়। তবে সর্বশেষ অভিযানে হামলার পরিধি বাড়ানো হয়েছে। দখলকৃত অঞ্চল জুড়ে একাধিক কৌশলগত এলাকায় আঘাত করা হয়েছে।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, হামলাগুলি উত্তর হাইফা, হাইফা, তেল আবিব, আশকেলন, একর এবং আশদোদকে লক্ষ্য করে চালানো হয় এবং এসব স্থানে তা আঘাত হানে। সাফেদ, লাচিশ (তেল আবিবের দক্ষিণে), বেইত শে’আন, আশকেলন এবং আশদোদেও হামলার উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরায়েলি সূত্রগুলি এই আক্রমণকে সাম্প্রতিক স্মৃতিতে দীর্ঘতম একটানা বিমান হামলা হিসাবে বর্ণনা করেছে। এতে দীর্ঘসময় দেশজুড়ে সাইরেন বাজতে থাকে। ফলে অধিকৃত অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক আতঙ্ক এবং বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার (২৩ জুন) ইরানের সর্বশেষ হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। দেশের বিভিন্ন শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় নাগরিকদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে যায়।
দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ইলেকট্রিক করপোরেশন (আইইসি) নিশ্চিত করেছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি æকৌশলগত অবকাঠামো স্থাপনার” ওপর আঘাত হানেছে। এই আঘাতের কারণে আশেপাশের শহরগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরণের ব্যাঘাত ঘটেছে।
আইইসি থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের জন্য তাদের টিমগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছে। তারা অবকাঠামোর মেরামত এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি অপসারণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। হামলার সময় প্রায় ৩৫ মিনিট ধরে সাইরেন বাজায়, যার ফলে নাগরিকদের দীর্ঘ সময় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে হয়। ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ রিপোর্ট করে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটি সবচেয়ে দীর্ঘ সময় তারা আশ্রয়কেন্দ্রে কাটিয়েছে।