শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে আনাগোনা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, কার্ড ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
চাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেছেন, ‘আমরা লক্ষ করেছি, কোনও ধরনের কার্ড ছাড়া কিছু লোক যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না, আমরা স্পষ্ট চিনি তাদেরকে, তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা চাই, কার্ড ছাড়া কেউ ঢুকে যেন কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। আশা করি, নির্বাচন কমিশন দ্রুতই ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকল প্রার্থী এবং ভোটার সবার কাছে আইডি কার্ড আছে। এর বাইরে নির্বাচন কমিশন সুযোগ দিয়েছে কোনও প্রার্থী চাইলে তারা সেখানে পর্যবেক্ষক কিছু রাখতে পারবেন। পর্যবেক্ষকদেরও কার্ড আছে।’
ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক বলেন, ‘অনেক বহিরাগত ক্যাম্পাস এলাকায় ঘুরছে। যাদের কোনও কার্ড দেখা যায়নি। গতকাল রাতেও সংবাদ সম্মেলনে আমরা বহিরাগতদের বিষয়ে বলেছি। আমরা বলেছি, যার বৈধ পাস নেই সে যে-ই হোক, যত ক্ষমতাধর ব্যক্তি হোক বৈধ পাস ছাড়া যেন কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে না আসতে পারে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্বাচন। কোনও বহিরাগত আসলে এর দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।’
চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে। কার্ড ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশের সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট রয়েছে।’
চাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৭ জন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাঁচটি অনুষদে, ১৫টি হলের জন্য নির্ধারিত ১৫টি কেন্দ্রে। মোট ৬০টি কক্ষে ৬৮৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ১৩টি প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে ৪১৫ জন এবং হল ও হোস্টেল সংসদে ৪৯৩ জন।