Swadhin News Logo
বুধবার , ২২ অক্টোবর ২০২৫ | ৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

চট্টগ্রাম বন্দর ইজারার সিদ্ধান্ত বাতিল দাবির মিছিলে পুলিশের বাধা, অনশনের ডাক

প্রতিবেদক
Nirob
অক্টোবর ২২, ২০২৫ ৯:০৪ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম বন্দর ইজারার সিদ্ধান্ত বাতিল দাবির মিছিলে পুলিশের বাধা, অনশনের ডাক

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালসহ (এনসিটি) চট্টগ্রাম বন্দরের যেকোনো স্থাপনা দেশি-বিদেশিদের ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। মিছিলটি বন্দর এলাকার দিকে যেতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। এ অবস্থায় আগামী ১ নভেম্বর অনশনের ডাক দেন শ্রমিকরা। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তারা।

বুধবার সকালে নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। মিছিল-সমাবেশের ওপর পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে পুলিশের বাধায় তারা বন্দর ভবন পর্যন্ত যেতে পারেনি। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার পর অনশনের ডাক দেন স্কপ নেতারা।

বেলা ১১টায় আগ্রাবাদের বাদামতলী মোড়ে সমাবেশের আয়োজন করে স্কপের চট্টগ্রাম জেলা শাখা। সেখানে শতাধিক শ্রমিক জড়ো হন। শ্রমিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, বিএলএফের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক প্রমুখ। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের দেবো না, আমার মাটি আমার মা-বিদেশিদের হবে না’ এমন নানা স্লোগান দেন শ্রমিকরা। 

সমাবেশে তপন দত্ত বলেন, ‘বন্দর কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, বন্দর ১৯ কোটি মানুষের। শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে বিদেশিদের বন্দর দেওয়া যাবে না। বন্দরে শ্রমিকদের ঢুকতে না দিয়ে, ৩০ টাকার গেট পাস ২০৩ টাকা করে বিদেশিদের বন্দর দিয়ে দেবেন, তা হবে না। পত্রিকায় দেখলাম, কর্মকর্তাদের বেতন দেড়-দুই লাখ টাকা হচ্ছে। আর এদিকে শ্রমিকদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। এগুলো আমরা মেনে নেবো না।’

অনশনের ডাক দিয়ে তপন দত্ত বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক-কর্মচারীরা সকাল ১০টায় অনশনে বসবো। আপনারা শ্রমিক-কর্মচারীরা সবাই সেখানে আসবেন। বন্দরে খরচ বাড়লে ক্রেতাদের ওপরও প্রভাব পড়বে। তাই সাধারণ মানুষকেও এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে অনুরোধ করছি।’

সভাপতির বক্তব্যে সমাবেশে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের নেতা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, ‘যদি শ্রমিকদের দাবি মানা না হয়, তাহলে আমরা সভা-সমাবেশ, হরতাল—সব কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্তকে অন্তর্বর্তী সরকার বহাল রেখেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের এসব সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার এই ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। শ্রমিকদের বেকার করে দেওয়ার, শ্রমিকদের পেটে লাথি মারার ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবো না।’

সমাবেশ শেষে নগরের আগ্রাবাদ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার বারেক বিল্ডিংয়ের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। এতে পুলিশ বাধা দেন। শ্রমিকরা হট্টগোল করলে সেখানেই কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

নগরীর ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আজাদ বলেন, ‌‘বন্দর থানা এলাকায় আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই ডবলমুরিং থানার সীমান্ত পর্যন্ত কর্মসূচি শেষ করতে শ্রমিক নেতাদের অনুরোধ করা হয়। অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ডবলমুরিং থানা এলাকায় কর্মসূচি শেষ করেন তারা।’

উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজের জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১১ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৩০ দিন চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন বারেক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নস্বর জেটি গেট, কাস্টমস মোড়, সল্টগোলা ক্রসিংসহ বন্দর এলাকায় যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক, শ্রমিক বা সামাজিক সংগঠনের মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পথসভা নিষিদ্ধ করা হয়। বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক