চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল কর্মী আলমগীর ওরফে আলম (৫০) নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাতে নিহতের বাবা আবদুস সত্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাসেল খান এবং অপর জনের নাম হৃদয়। তিনি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
এদিকে, ছাত্রদল নেতা রাসেল খানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাউজান উপজেলা যুবদল ও ছাত্রদলের একাংশের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাউজান পৌরসভার চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের জলিলনগর এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি ও শিল্পাঞ্চল) রাসেল জানান, রাউজানে আলমগীর ওরফে আলম খুনের ঘটনায় সোমবার রাতে মামলা করা হয়েছে। নিহতের বাবার করা মামলায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।
গত শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার পৌরসভার রশিদারপাড়া সড়কে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আলমগীর ওরফে আলম রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের সিদ্দিক চৌধুরী বাড়ির আবদুস সত্তারের ছেলে।
জানা গেছে, নিহত এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ২০০৩ সালে র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে রাউজানে নিহত সন্ত্রাসী জানে আলমের বাহিনীর প্রধান জানে আলমসহ ১১ জন নিহত হন। ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত ছিলেন এই আলম। তিনি একটি অস্ত্র মামলায় ১০ বছর কারাভোগ করেছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাউজানে গত ৫ আগস্ট অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পর্যন্ত ১৭টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি হত্যাকাণ্ড রাজনৈতিক কারণে ঘটেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

















