গ্রামের নাম সুবাসপুর।সকাল হলেই পাখির কিচির মিচির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে সোহানের।ফুল ফসলে ভরে উঠেছে গ্রামটির চারদিক। গ্রামের এক পাশ দিয়ে ছুটে গেছে আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। এই গ্রামের আলো বাতাসে বেড়ে উঠেছে দরিদ্র পিতা মাতার একমাত্র সন্তান সোহান। বাবা মায়ের অসীম ভালোবাসা ছিল সোহানের প্রতি।শিশুকাল থেকেই বাবা মায়ের কাছে ছিল সোহানের নানা আবদার।বাবা মা তার আবদার পূরণ করতে সচেষ্ট থাকতেন।
সোহানের বাবা গ্রামের মাতবর রহীম সাহেবের জমি চাষ করেন।এতে যা আয় রোজগার হয় তা দিয়ে কোন রকম তাদের সংসার চলে। অনেক অভাব অনটন, দূ:খ দূর্দশার মাঝে তাদের জীবন অতিবাহিত হচ্ছিল। বাবা মায়ের স্বপ্ন সোহান লেখা পড়া করে অনেক বড় হবে। বড় হয়ে সে সমাজের একজন শিক্ষিত মানবিক মানুষ হবে।দেশের কল্যাণে গরীব দূ:খীর সাহায্যে এগিয়ে আসবে। সোহান হবে একজন আদর্শ মানুষ। তাকে দেখে মানুষ আলোর সন্ধান পাবে।বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে।
বাবা মায়ের স্বপ্নে সোহান ও ভাসে।।এক সময় সে প্রতিজ্ঞা করে,সে ভালো করে লেখা পড়া করে বাবা মায়ের দূ:খ দূর্দশা দূর করবে দেশের কল্যাণে কাজ করবে।গরীব দূ:খীর সাহায্যে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দেবে।
লিখেছেন – মো: মাহবুবে ইলাহী।
প্রধান শিক্ষক, কালামাইশ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
কাপ্তাই,রাঙামাটি।