গাইবান্ধা করেসপনডেন্ট:
গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ ও উপ সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ও বরখাস্ত করার দাবি জানিয়েছেন জেলার সাংবাদিকরা। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের কাচারি বাজার এলাকায় ডিবি রোডে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়। নারী সংবাদকর্মী দিশা আক্তারকে হেনস্তা ও সাংবাদিক খায়রুল ইসলাম, মিলন খন্দকার ও দিশা আক্তারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব।
প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক জাভেদ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নির্বাহী প্রকৌশলী বেলাল আহমেদ ও উপ সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথ নিজেদের অনিয়ম ও দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা করেছেন। এছাড়া শিশির চন্দ্র দেবনাথ নারী সাংবাদিক দিশা আক্তারকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, দিশা আক্তার বাদী হয়ে দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করলেও পুলিশ এখনো তাদের গ্রেফতার করেনি। এ সময়, তারা দ্রুত গ্রেফতার ও বরখাস্তের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, সহ-সভাপতি রেজাউন্নবী রাজু ও খালেদ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মিলন খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক রজতকান্তি বর্মন, নির্বাহী সদস্য লালচান বিশ্বাস সুমন, জোবায়দুর রহমান জুয়েল, সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. রেদওয়ানুর রহমান, পলাশবাড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক রবিউল ইসলাম, মেহেদী বাবু, সোহরাব হোসেন শিরল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে তথ্য ও বিজ্ঞাপন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গাইবান্ধা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যান সংবাদকর্মী দিশা আক্তার। পরিচয় দেওয়ার পর উপ সহকারী প্রকৌশলী শিশির চন্দ্র দেবনাথ ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর চড়াও হন, অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং শারীরিকভাবে আক্রমণ করে তার স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেন।
/এএইচএম