সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় বৃদ্ধা মমতাজ বেগম (৭৫) হত্যা মামলায় তার নাতনি ফাউজিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামি। দাদির শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত রোববার রাতে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর এলাকার সরদারপাড়ায় নিজ বাড়িতে প্রয়াত প্রকৌশলী এস এম শফিউল্লার স্ত্রী মমতাজ বেগমের মুখমণ্ডলে থেতলানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন তার ছেলে জাকির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার দিন রাতেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বৃদ্ধার ভাশুরের নাতনি ফাউজিয়া খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি বনপাড়ার সর্দারপাড়ার শাহিনুজ্জামানের মেয়ে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, আসামি ফাউজিয়া তার প্রতিবেশী দাদির বাড়িতে মাঝেমধ্যেই আসতো। ফাউজিয়া গরিব এক ছেলেকে বিয়ে করায় তার দাদি প্রায়ই তাকে কটাক্ষ করতো। ফাউজিয়া তার দাদীর বাড়িতে গেলে ছোটখাটো চুরির ঘটনাও ঘটতো, যার কারণে তার দাদি তাকে তাদের বাড়িতে আসতে নিষেধ করেছিল। এসব কারণে ফাউজিয়া দাদির উপর খুবই ক্ষুব্ধ ছিল।
রোববার রাতে দাদির বাড়িতে গেলে তাকে পুনরায় কটাক্ষ করলে লোহার ধাতব টর্চ লাইট দিয়ে দাদির মুখে আঘাত করে ফাউজিয়া। এরপর বৃদ্ধা মেজেতে পরে গেলে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে সে। পরে দাদির শরীরের গহনা নিয়ে নাটোরে চলে এসে স্বামীর মাধ্যমে জুয়েলার্সের দোকানে বিক্রি করে।
তবে, ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় ফাউজিয়া ও তার স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
/এমএইচআর